তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন:প্রতিষ্ঠার আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া অর্থহীন হবে উল্লেখ করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল না। প্রতিটি সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে আওয়ামী লীগই জড়িত ছিল। ৭৫ সালে শেখ মুজিব হত্যা, ৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যা, ৮২ সালে নির্বাচিত সরকার হঠিয়ে সামরিক শাসন, ২০০৭ সালের অবৈধ অসাংবিধানিক সরকার গঠনে আওয়ামী লীগের লোকরাই জড়িত ছিল।”
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিয়াউর রহমানের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এ আলোচনার আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাবির সাবেক ভিসি ড. মোস্তাহিদুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, মহানগর উত্তরের আহবায়ক ইয়াসিন আলী, দক্ষিণের আহবায়ক আলী রেজাউর রহমান রিপন, ফরিদ উদ্দিন ও আক্তারুজ্জামান বাচ্চু।
মির্জা আলমগীর বলেন, “আমরা ভয়ঙ্কর একটি স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে লড়াই করছি। এই সরকার দেশ, জনগণ, মাটি ও মানুষের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করছে। মানুষের মধ্যে এদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ঘৃনার সৃষ্টি করতে হবে।”
তিনি বলেন, “একটি দল তাদের নেতা কিংবদন্তী পুরুষ দাবি করে। কিন্তু তিনি গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছিলেন। আর জিয়াউর রহমান ছিলেন এদেশের ক্ষণজন্মা পুরুষ। তার নাম এই সরকার সব যায়গা থেকে মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু তার নাম মুছে ফেলা কখনোই সম্ভব নয়। যেখানে যাবেন সেখানেই জিয়ার নাম পাওয়া যাবে।”