গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি:: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরআমান উল্যা ইউনিয়নে দিপু রানী মজুমদার (২০) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ^শুরের পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী শ্যামল মজুমদার পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বপন মার্কেট এলাকার রাখাল মজুমদারের বাড়ী থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দিপু রানী মজুমদার চট্টগ্রামের সন্দীপের কালাপানি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সিফত মজুমদারের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার মাস আগে সুবর্ণচর উপজেলার স্বপন মার্কেট এলাকার রাখাল মজুমদারের ছেলে গাড়ী চালক শ্যামল মজুমদারের সাথে বিয়ে হয় দিপু রানীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ীর লোকজন তাদের কক্ষের মধ্যে পরনের কাপড় দিয়ে ঘরের আড়ির সাথে দিপুর ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে জানায়।

নিহতের ভাই শিমুল মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের চার মাস পার হলেও তার বোনকে তাদের বাড়িতে নিতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিয়ে বেড়াতে যেতে দিতেন না। বিয়ের শ্যামলের পরিবারকে ৮০হাজার টাকা,একটি স্টীলের আলমারী ও যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন সময় শ্যামল ও তার বাবা-মা আরো টাকার জন্য দিপুকে মারধর করতো।

এসব বিষয় নিয়ে আগামী ৩০এপ্রিল পারিবারিকভাবে বসার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগেই তারা দিপুকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তাঁর অভিযোগ দিপুকে হত্যা করে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।

শ্বশুর রাখাল মজুমদার হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমরা তার পরিবারের কাছে কখনও যৌতুক দাবি করিনি। বিয়ের সময় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কিছু লেনদেন হয়। আর আমার ছেলের সাথে কখনও বাক্বিতন্ডা হতে দেখিনি।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here