সুশীল সমাজ সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে থাকে না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতে সামরিক সরকারকে সহায়তা করে তাদের একটি অংশ দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে সামজিক দর্শন বিষয়ক এক আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে সুশীল নাগরিক সমাজের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে সুশীর সমাজের ভূমিকা রয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতার কারণে বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, অতীততে সামরিক সরকারকে সহায়তা করতে গিয়ে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের যারা নিজেদের সুশীল সমাজ বলে দাবি করে, তারা যে সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে থাকে তা নয়। মাঝে মাঝে দেখা যায় তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক একনায়কদের শক্তির কেন্দ্র বনে যায়।’

গণতন্ত্রকে সুসংহত হতে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সুশীলদের একটি অংশ ক্ষমতার স্বাদ পেতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে ফেলে। এর ফল হলো দেশের মানুষকে ভোগান্তি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন থাকায় সবাই মন খুলে কথা বলতে ও লিখতে পারছে। জনগণের কল্যাণ হয় এবং গণতন্ত্র সুসংহত হয় এমন কোন পরামর্শ আসলে সরকার তা গ্রহণ করবে।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য কিছু করা হলে সে বিষয়ে তিনি দেশের মানুষকে সচেতন করবেন। কারণ, রাজনীতি জনগণের মত প্রকাশের মাধ্যম- এই চিন্তা থেকে দূরে সরে গেলে চলবে না।

হবিগঞ্জের একটি আসনে হেরে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে ওই আসনে প্রতিবারই আওয়ামী লীগ জিতেছে। কিন্ত গত উপনির্বাচনে এক হাজার ভোটে হেরে গেলেও আওয়ামী লীগ সেখানে কোন হস্তক্ষেপ করেনি।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওই চুক্তির ফলে কয়েক দশকের রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘাতে অবসান হয়। সরকার এই চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির দেয়া দুর্নীতির প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরো উদারভাবে যাচাই-বাছাই করা হলে এই সূচক আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকতো।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here