মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি ::
সুবর্ণচরে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির পরিচিতি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এর উপর কৃষক/ যন্ত্রচালক ও মেকানিকদের নিয়ে ২দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুর শাখার ফার্ম মেশিনারি এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর  লাভজনক করা প্রকল্পের আওতায় সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নে আল-আমিন বাজার এলাকায় প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বেলা ১১ টায় চর ওয়াপদা ইউনিয়নে আল-আমিন বাজার এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নোয়াখালীর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বৈজ্ঞানিক সহকারি আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত প্রশিক্ষণে  উপস্থিত ছিলেন, ফার্ম মেশিনারি বিভাগ গাজীপুর শাখার  বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  (এস ও FMPE) মোঃ সুমন মিয়া , সরেজমিন গবেষণা বিভাগ নোয়াখালীর এস এস ও ড. শহীদুল ইসলাম, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ নোয়াখালীর এম এস বশির।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  মোঃ সুমন মিয়া জানান, কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতরো লাভজনক করা প্রকল্পের আওতায় ১৮ ধরনের যন্ত্রপাতি হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে।  এই যন্ত্রপাতিগুলো একেবারে কৃষক যন্ত্রচালক ও মেকানিকদের হাতে কলমে ব্যবহৃত হবে । কৃষক যেন মাঠে গেলে তার মনে কোন জড়তা কাজ না করে, হান্ডিক্স কোথায় পাবো, মেকানিক কোথায় পাবো, এমন সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান করতে আমরা হাতে কলমে তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি যাতে মাঠের সমস্যা মাঠেই সমাধান হয়।
এই সময় কৃষকরা জানায়, আমরা এই যন্ত্রপাতি দিয়ে খুবই উপকৃত হইতেছি এবং এলাকার সকলেই উপকৃত হইতেছে কানি প্রতি আগে আমাদের সাত থেকে আট হাজার টাকা খরচ লাগতো এখন আমরা কানি প্রতি তিন থেকে সাড়ে তিন বা চার হাজার টাকা খরচে চাষ করতে পারি এবং কানি প্রতি ৪০কেজি ধান লাগতো এখন ২০ থেকে ২৫ কেজি লাগে।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here