মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি ::
 
নোয়াখালী  জেলার সুবর্ণচরে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং প্রকৃত ভূমিহীনদের জায়গা বন্দোবস্ত দেয়ার দাবীতে ভূমিহীন  সমাবেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবার ও  অসহায় ভূমিহীনরা। সোমবার ১২ টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলা চর জুবিলী ইউনিয়নের চর মহি উদ্দিন গ্রামের কেরানী বাজারে ভূমিহীন সমাবেশ  অনুষ্ঠিত হয়।
চরজুবলী ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি জামশেদের সঞ্চালনায় ভূমিহীন নেতা আবু কালাম সফি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আব্দুল মালেক উকিল পুত্র ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুবর্ণচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মিজানুর রহমান দিপক, উপজেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম জিকু,  ভূমিহীন নেত্রী সাবেক ইউপি সদস্য আমেনা বেগম, ভূমিহীন নেতা মোঃ হাসান প্রমূখ।
ভূমিহীন সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভূমি দস্যুরা অবৈধভাবে সুবর্ণচর উপজেলা ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ও তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নামে বেনামে ভূমিহীনদের বাড়ী ঘর, মসজিদের জায়গা, ডোবা, নালা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জায়গা, ভূমিহীনদের দীর্ঘদিনের দখলীয় জায়গা অবৈধ বন্দোবস্ত দেয়। কিন্তু প্রকৃত ভূমিহীনরা কোন বন্দোবস্ত পায়নি।
ভূমিহীন ক্ষতিগ্রস্থরা বলেন, ১৯৯৮/১৯৯৯ সালে ভূমিহীনরা সরকারি জায়গায় বসবাস শুরু করে, পরবর্তীতে ২০০৫/২০০৬ সালে সিডিএসপি মাঠ জরিপে দখল প্রমাণিত হওয়ায় ভুমিহীন কয়েক শত পরিবারকে ভুমিহীন টোকেন স্লিপ প্রদান করে কিন্তু ভুমিহীনদের নামে খতিয়ান হওয়ার পূবেই অভিযুক্তরা উপজেলা ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচের মাধ্যমে  ভূমিদস্যুরা  তাদের  নামে খতিয়ান করে নেয়। এতে করে প্রকৃত ভূমিহীনরা মাথা গোঁচার শেষ ঠাঁই টুকু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি তারা অনুপস্থিত বন্দোবস্তো নিয়ে ভূমিদস্যুরা ভূয়া নথি সৃজন করে উচ্ছেদ এবং ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। এতে আমরা উচ্ছেদ আতংকে ভূগছি। ভূমিসদ্যুরা এ পর্যন্ত বহু পরিবারের  ১০০ একর ভূমি রেকর্ড করে নিয়ে গেছেন বলেও সমাবেশে দাবি করেন।
সমাবেশ থেকে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ভূমিহীনদের সমস্যার কথা বলেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here