এম এ কাসেম, সুনামগঞ্জ থেকে:
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিপউটার শিক্ষার বিষয়টি পাঠ্যক্রমের অনর্-ভুক্ত থাকলেও উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসায় কাগজে-কলমে কমিপউটার থাকলেও বাস-বে কমিপউটার আছে তবে শিক্ষক নেই। বিদ্যুৎ আছে কিন’ কমিপউটার ল্যাব নেই এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও আছে অনেক।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এ উপজেলার মহাবিদ্যালয় ১টি,আলিম মাদরাসা ১টি, নিু মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২টি,উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩টি এবং দাখিল মাদরাসাও রয়েছে ৪টি। উপজেলার ২১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কাগজে-কলমে কমিপউটার আছে কিন’ বাস-বে কম্পিউটার শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন সুফল দেখা যাচ্ছেনা। অধিকাংশ প্রতিষ্টানের শিক্ষকরা চাকুরির খাতিরে কম্পিউটার শিখলেও বাস-াবে ছাত্রছাত্রীর কোন কাজে আসছেন না। মাদ্রাসাগুলোর অবস’া আরো খারাপ এ কারণে কমিপউটার শিক্ষার মান শূন্যের কোঠায় পড়ে আছে।
১৯৯৯ সালে কমিপউটার শিক্ষা বিষয়টি পাঠ্যক্রমে অনর্-ভুক্ত করা হলেও বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ শিক্ষক কম্পিউটার শিক্ষায় অদক্ষ এবং তাদের কমিপউটার প্রক্ষিণের সদনপত্রের মানসম্মত নয়। যদিও কমিপউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে বাস-াবে তিনি কম্পিউটার শিক্ষায় পারদর্শী নন। ক্লাস নিচ্ছেন অন্যবিষয়। সরকারী ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিপউটার প্রদান করলেও সেগুলো কোন প্রতিষ্টানে কম্পিউটার শিক্ষকের অভাবে সক্রিয় নেই বলে জানা গেছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক স্কুলসহ কয়েকটি বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, কমিপউটার আছে ঠিকই কিন’ প্রধান শিক্ষকের রুমে শোবিজ হিসেবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অপরদিকে প্রতিষ্টানের কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কারণে সরকারী এই সম্পদ ঠিকমতো রক্ষনা-বেক্ষণ না করায় কম্পিউটার গুলোর ডেকে না রাখায় ধূলোবালির আস-রণ পড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম প্রায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম জিন্নাহ জানান,অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্টানে কম্পিউটার শিক্ষাক না থাকায় বিধিমোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে। যে সকল প্রতিষ্টানে কম্পিউটার শিক্ষক আছেন সে সব প্রতিষ্টানের কম্পিউটার বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস অব্যাহত আছে।