ডেস্ক রিপোর্ট:: তফসিল ঘোষণা পর পুলিশি তৎপরতায় সুনামগঞ্জে কোনো ধরনের মিছিল করতে পারেনি জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। দেশের অন্যান্য জায়গায় বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মকাণ্ডের খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জে পুলিশের কৌশলী পদক্ষেপে কোণঠাসা ছিল তারা। তফসিল ঘোষণার পরে সুনামগঞ্জের রাজপথে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ছাড়া বিএনপির কাউকে দেখা যায়নি।
অপতৎপরতা রুখতে এর আগে বিকেলে নাশকতার মামলার আসামি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলসহ পৌর শহরে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ঘরে ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, তফসিল ঘোষণাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নেয় তারা। তফসিল ঘোষণার পর পর বিক্ষোভ মিছিল করতে নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের অভিযানের কারণে জড়ো হতে পারেনি তারা। তবে পুলিশ দিয়ে তাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না বলে দাবি তাদের।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) শহর ঘুরে দেখা যায়, তফসিল ঘোষণার পর পর সুনামগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। পুরাতন বাস-স্টেশনে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি টহল কার্যক্রম চালায় বিজিবি ও র্যাবের বেশ কয়েকটি দল।
সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সজাগ ছিল। সারাদিন ধরেই পুলিশ মাঠে কাজ করেছে। সন্ধ্যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়। পুলিশের তৎপরতায় সুনামগঞ্জে কোনো ধরনের অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কেউ করতে পারেনি।
এদিকে তফসিল ঘোষণার পর পরই আনন্দ মিছিল করেছে সুনামগঞ্জ জেল আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পক্ষ থেকে ও সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিনের নেতৃত্বে আলাদা দুটি আনন্দ মিছিল করে তারা। দুটি আনন্দ মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।