জাতিসংঘে সিরিয়ার সংকট বিষয়ে এক প্রস্তাবে চীন ও রাশিয়া ভিটো দেয়ার পর সেখানে কড়া মন্তব্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে ঐ দুই দেশ সিরিয়ার জনগণকে বিক্রি করতে চাইছে; দামাস্কাস ঘেঁষা নীতি নেয়ায় তাদের সমালোচনা করেছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স।খবর : বিবিসি
তবে রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে এই প্রস্তাবের মাধ্যমে শাসন ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ তুলেছে।
আর চীন বলেছে এত মতবিরোধ থাকা অবস্থায় শুধু ভোটের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবেনা।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত একটি খসড়া প্রস্তাবে ভিটো দিয়েছে রাশিয়া ও চীন।
কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট কোডজো মেনান নিরাপত্তা পরিষদে ঘোষণা করছেন দুটি সদস্য রাষ্ট্রের ভিটো কারণে প্রস্তাব গৃহীত হচ্ছে না।
সিরিয়ায় সরকার পতনের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে আরব লীগ, যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থনে শনিবার নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব তোলা হয়।
কিন্তু প্রস্তাবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে পদত্যাগের আহ্বান এবং সশস্ত্র বিরোধী গ্রুপগুলোকে নিরস্ত্র করার কোনও কথা না থাকায় এর সমালোচনা করেন দেশ দুটি।
জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিটালি চারকিন বলেন সদস্যদেশগুলো নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টায় এ প্রস্তাব এনেছে।
তিনি বলছিলেন কিছু প্রভাবশালী সদস্য সিরিয়া সংকটের শুরু থেকেই সেখানে পরিবর্তনের নামে সেনাবাহিনীকে মদদ দিচ্ছে এবং নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে।
শুক্রবার হোমসে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলা হামলার পর শনিবার আবারো সেখানে ৫৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর মানবাধিকার-কর্মীরা জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর নিরাপত্তা পরিষদে ওই ভোট হয়।
এদিকে তাদের ভেটোর কারণে আসাদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার পথ আপাতত রুদ্ধ হলো।
এর আগে অবশ্য রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ ওই খসড়া প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, এ প্রস্তাব ‘হতাশাজনক’ নয়।
তবে সেখানে ‘একটি গৃহযুদ্ধের পক্ষ নেওয়া’ থেকে বিরত থাকার জন্য কিছু শব্দের সংশোধন দরকার।
আগামী মঙ্গলবার লাভরভের সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এদিকে খসড়ায় রাশিয়ার প্রস্তাবিত সংশোধনীকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস।
আগামী মঙ্গলবার লাভরভের সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
সিরিয়ায় নতুন করে এই সহিংসতার ঘটনায় লন্ডন, কায়রো ও কুয়েতে সিরীয় দূতাবাসে হামলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও গ্রিসে সিরীয় দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ হয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক