মোঃ আব্দুল হাকিম, নাটোর প্রতিনিধি :: নাটোরের সিংড়ায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বন্যায় আত্রাই নদীর পানির তোড়ে সিংড়া-তেমুক সড়কের ২টি পয়েন্ট ভেঙে সম্পূর্ণ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়াও সড়কে পানি উঠে আরো অন্তত ৬টি জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এদিকে বাড়ি-ঘর রক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করছে সাধারণ জনগণ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ১০ গ্রামের মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রবল বন্যা ও ভারি বর্ষণে গত এক সপ্তাহ সড়কটির কয়েকটি পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লেও এলজিইডিকে সড়কটি রক্ষার জন্য বারবার বলার পরও তারা সাড়া দেয়নি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তাদের এই সড়কের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। কিন্তু রাতে হঠাৎ বন্যার তোড়ে দুটি স্থানে অন্তত ১০মিটার করে ভেঙ্গে গেছে এবং ক্রমেই ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ

ছাড়াও ভাগনাগরকান্দি এলাকায় আরো অন্তত ৬টি পয়েন্টে পাকা সড়কে পানি উপচে পড়েছে। এলাকাবাসী তাদের স্বপ্নের পাকা সড়ক ও বাড়ি-ঘর রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করছে। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা নির্মাণের সময়ই নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট, মাটি ও রাবিশ মিশ্রিত খোয়া ব্যবহারসহ রাস্তাটি নিচু করার অভিযোগ এনে কাজ বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি।

তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজ উদ্দিন বলেন, এই সড়ক ভেঙে পানি ডুকে পড়ায় ইউনিয়নের চরতাজপুর, তাজপুর, ভাদুরীপাড়া, চকনওগা, কমরপুর, বজরাহার, রাখালগাছা গ্রামের প্রায় ৮ হাজার লোক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এলাকাবাসীকে নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে সারারাত কাজ করেও রাস্তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া এই পানি নাগরনদে উপচে পড়ে চৌগ্রাম, তাজপুর, ইটালী, ডাহিয়াসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের লোক ঝুকিতে পরবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।

সিংড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার কথা শুনে অবাক হন। ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু বলেন, অনেক আগেই এলজিইডিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। এবং এই রাস্তা রক্ষায় আমি নিজে উপজেলা পরিষদ খেকে অর্থ বরাদ্দ দিতে চেয়েছি। কিন্তু সেটা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here