নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের বিলতাজপুর এলাকায় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় একজনকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত বিলতাজপুর এলাকার মৃত তৌফিকুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ কবিরকে সিংড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে আহতের ভাই ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অভিযুক্ত আসামীরা হল একই এলাকার নুরুজ্জামান ওরফে জবানের ছেলে জাকির হোসেন(২৭), চাঁদপুর এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রনি(২২), মৃত খইমুদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামান ওরফে জবান(৪৫), মৃত মাফের ফকিরের ছেলে মধু ফকির(৩৫), চয়েন উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম(২২) সহ আরও অজ্ঞাত ৫/৬ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিলতাজপুর এলাকার সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ ও চাঁদাবাজ জাকির হোসেন বেশ কিছুদিন থেকেই ফিরোজ কবিরের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। সে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে জাকির মোবাইল ফোনে(০১৭৬৪ ৬৪৫০৫০) তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। গত ১ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে সাতটার দিকে ফিরোজ তার সঙ্গীয় একই এলাকার মৃত আশরাফুল ইসলামের ছেলে বুলবুল আহম্মেদকে নিয়ে স্থানীয় সাতপুকুড়িয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জাকির, রনি, জবান, মধু, রহিম ও আরো ৫/৬ জন তাদের পথ আগলে ফিরোজকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে ফিরোজ গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বুলবুলকেও তারা লাঠি, হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে বেধরক মারপিট করার পর ফিরোজকে হত্যার উদ্যেশ্যে তার বুকের ওপর বসে গলায় হাসুয়া দিয়ে আঘাত করতে উদ্যত হয় পাশাপাশি তারা ফিরোজের গলা থেকে ৮ আনা ওজনের সোনার চেইন ও তার পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় বুলবুলের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসতে থাকলে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস’ল ত্যাগ করে। পরে বুলবুল স্থানীয় লোকদের সহায়তায় ফিরোজকে সিংড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এব্যাপারে ফারুক বাদী হয়ে তার ভাইয়ের প্রায় ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ও আসামীদের দৃষ্টান-মূলক শাসি-র দাবীতে শুক্রবার বিকেলে মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন-কারী কর্মকর্তা এসআই সৈকত মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফিরোজের মাথা সহ বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। মামলা দায়েরের পর আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইউনাইটেডনিউজ ২৪ ডট কম/আকতার হোসেন অপূর্ব/নাটোর