যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সোমবার সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। সকালে ঈদের নামাজ আদায় করতে ঈদগাহ এবং মসজিদে সমবেত হন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সকাল সাড়ে আটটায় হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হক, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের সদস্য, কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষ। ঈদ উপলক্ষে রাজধানীকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপে টাঙানো হয়েছে রং-বেরঙের পতাকা। পাশাপাশি সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারকখচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, ভবঘুরে কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম ও শিশুসদনে আজ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদ উল আযহার শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে জিল্লুর রহমান তার বাণীতে বলেন, “আনুগত্যের উজ্জ্বল মহিমায় ভাস্বর ঈদ উল আযহা। তাওহীদের চেতনায় সর্বোচ্চ ত্যাগের দৃষ্টান্ত এ দিন। মহান আল্লাহর অভিপ্রায় বাস্তবায়নে হযরত ইব্রাহিম (আ.) যে গভীর আনুগত্য ও সীমাহীন ভক্তি প্রদর্শন করেছেন তা বিশ্বে অতুলনীয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এ শিক্ষা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে হবে।”
শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, “প্রিয়বস্তুকে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহিম (আ.) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর জন্য চিরকালই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।”
খালেদা জিয়া তার বাণীতে বলেন, “স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা কোরবানির প্রধান শিক্ষা। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধকে পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সমপ্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়া আমাদের কর্তব্য।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নিউজ ডেস্ক