বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবীর সাব্বির হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার ৫ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন এ দিন ঠিক করেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. আরমান আলী ২০০৮ সালের ১২ মে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। এতে বলা হয়েছে, গুলশানের ১০৪ নম্বর সড়কে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ৩/জি নম্বর বাসার ছাদ থেকে সাব্বিরকে ফেলে দেয়া হয়।

গত জানুয়ারিতে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমের ছেলে সাফিয়াত সোবহান সানবীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল।

অভিযুক্তরা সবাই বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাদের মধ্যে সানবীর, নূরে আলম ও হুমায়ূন কবীরকে পুলিশের খাতায় পলাতক দেখানো হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

একই দিন মামলার অপর আসামি খায়রুল হাসান উজ্জ্বল ও শামসুদ্দিন আহমেদের জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এদিকে, সাব্বির হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী দুই সাক্ষী পাপিয়া গাইন ও সাদিয়া আখতার ওরফে রাত্রীর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

ওই দুজন সাক্ষী সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে সানবীরকে দায়ী করে সাব্বির হত্যার বিবরণ দেন তারা।

সিআইডি ২০০৮ সালের ৮ মে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে সানবীরকে প্রধান আসামি করে মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

বিগত বিএনপি সরকারের আমলে সানবীর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে  রেড নোটিশ’ জারি করা হয়েছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সানবীরকে দেশত্যাগে সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে।  সানবীরকে খুনের মামলা থেকে রক্ষা করতে তিনি বসুন্ধরার মালিকের কাছ থেকে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। ওই টাকার মধ্যে ২০ কোটি টাকা তখন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরতও দেন বাবর। ওই ঘুষ দেয়া-নেয়ার অভিযোগে গত বছরের ৪ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রমনা থানায় বাবর ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় আহমেদ আকবর সোবহান জামিনে আছেন।

 উল্লেখ্য, গত ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক (কমিউনিকেশন) সাব্বির খুন হন। এর ৩ দিন পর তার ভগ্নিপতি এএফএম আসিফ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here