হাত-পায়ের জয়েন্ট হাইপারমোবাইল বলে ফোরহ্যান্ডটা যেমন পোক্ত, তেমনই আবার চোট লাগার ভয়৷ ওদিকে ক্রিকেট-পাগল দেশে টেনিস কুইন হওয়াটার ভালোমন্দ দুইই আছে৷
সেই কারণেই হয়তো সিঙ্গলসে বিশ্বের বাছাই তালিকায় ২৭’এ পৌঁছনোর পরও সানিয়াকে আজ মেলবোর্নে – এবং হয়তো আগামীতে লন্ডন অলিম্পিকেও – মেডেল জেতার জন্য মিক্সড ডাবলসের ওপরেই ভরসা করতে হবে৷ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনি খেলছেন মহেশ ভূপতিকে পার্টনার করে৷ লন্ডনে তিনি ভূপতি, লিয়ান্ডার পেজ না রোহন বোপান্না’কে পার্টনার করে খেলবেন, সে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় টেনিস অ্যাসোসিয়েশন, রয়টার্স’কে জানালেন সানিয়া৷
ক্রিকেট-পাগল ভারতে টেনিসকে জনমানসে একটা নতুন পর্যায়ে তুলে দিয়েছেন সানিয়া৷ কিন্তু এই জনপ্রিয়তার দামও দিতে হয়েছে তাকে৷ কোটি কোটি মানুষের দেশ ভারতে লোকে যে তাকে ভলোবাসে, শ্রদ্ধা করে, সেটা হল ঐ জনপ্রিয়তার ভালো দিক৷ অপরদিকে রয়েছে মিডিয়ার চোখ সানিয়ার টেনিস ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটির ওপরে৷ প্রত্যেকেরই তার সম্পর্কে মতামত রয়েছে৷ প্রত্যেকেই যেন টেনিসও তার চেয়ে ভালো বোঝে৷ কিন্তু তা নিয়েও বাঁচতে হবে, বললেন সানিয়া৷
২০০৮ সালে হপম্যান কাপে তিনি নাকি ভারতীয পতাকার প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন – সেই নিয়ে একটা ঝড় গেছে৷ সেই সঙ্গে আছে তার টেনিসের পোশাক নিয়েই শ্লীলতা, অশ্লীলতার নানা উক্তি এবং অভিযোগ৷ ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি যেন একটা মুক্ত মঞ্চের উপর জীবন যাপন করছেন৷ তার পরেও দশ বছর কেটে গেছে৷ এখনও তিনি পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেননি, জানালেন সানিয়া৷
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্পোর্টস নিউজ