স্টাফ রিপোর্টার :: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার পাঁচ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও এ সময়ে ব্যাংকের সব শাখা খোলা থাকবে। তবে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ব্যাংকার ও অন্য কর্মীদের অবশ্য অফিস করতে হবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হবে বলে জানা গেছে। নতুন সময়সূচি কার্যকর হবে রোববার থেকে।
বর্তমানে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন হয়। কর্মীদের অফিস করতে হয় ৪টা পর্যন্ত।
সরকার আগামী ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এতে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি এবং পরের দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ব্যাংকের ছুটির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেবে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক সীমিত সময়ে লেনদেন চালু রাখার এ সিদ্ধান্ত নেয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগেও বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে অফিস করতে বলা হয়েছে। গতকাল আরেক সার্কুলারের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করতে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং কমিউনিটি ট্রান্সমিশন প্রতিরোধে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা বিবেচনায় ব্যাংকের পর্ষদ এবং পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় ব্যাংকের পরিচালকদের সশরীরে উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ। এ প্রেক্ষাপটে এখন থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি, অডিট কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সব সভা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তথা ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পরিচালক যথানিয়মে সম্মানী পাবেন। তবে সভার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে।
অন্য আরেকটি সার্কুলারে ব্যাংকগুলোর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত করতে বলা হয়েছে। ১০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণে চলমান সব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করে কর্মীদের কর্মস্থলে যোগ দিতে নির্দেশনা দিতে হবে।