বিজিএমইএ ভবনস্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙতে শেষ সুযোগ হিসেবে সাত মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের এক বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।

আজ রোববার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে জিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

আদালতে বিজিএমইএ-এর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মঈনুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ভবনটি ভাঙার ব্যাপারে এর আগে আরো এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

গত ১২ মার্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে ছয় মাসের সময় দেন আপিল বিভাগ। বিজিএমইএ-এর তিন বছরের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ ভবন ভাঙতে ছয় মাস সময় দেন।

বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে কত সময় লাগবে সে ব্যাপারে ৯ মার্চের মধ্যে আদালতে আবেদন করার জন্য আপিল বিভাগ গত ৫ মার্চ আদেশ দেন। ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রিভিউ আবেদন খারিজ করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায় বহাল রাখেন।

গত বছরের ২ জুন হাইকোর্টের দেওয়া বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায়ই বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভবন নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন উদ্বোধন করেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে ভবনটি বিজিএমইএ-এর প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজারসংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিনই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনির উদ্দিন। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তার রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য বিজিএমইএ- এর প্রতি নির্দেশ দেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here