বৃহষ্পতিবার থেকে সাতক্ষীরায় মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে ডকস্কোয়ার্ড নিয়ে মাঠে নামছে বিজিবি। ভর্তুকি দিয়ে রসুন আমদানী করে সরকার কিন্তু সেই রসুন এক শ্রেনীর চোরাকারবারিরা বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন চোরাঘাট দিয়ে ভারতে পাচার করছে। অপরদিকে ভারত থেকে একইভাবে আসছে মরন নেশা ফেন্সিডিল, হেরোইন,গাজাসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় ট্যাবলেট। কিন্তু এভাবে চলতে পারে না। মাদক ও চোরা চালানের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদক ব্যবসায়ী ও চোরা কারবারিদের সনাক্ত করে পত্রপত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলে বিজিবি ব্যববস্থা নেবে।
সাতক্ষীরা ৪১ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে:র্কণেল এনায়েত করিম জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ফেন্সিডিল সহ মাদকদ্রব্য ব্যাবসা বন্ধ করতে আগামী বৃহস্পিতিবার থেকে ডগ স্কোয়াড দিয়ে তলাশি চালোনো হবে।আমাদের কাছে বর্তমানে টম, টাইগার ও ফেন্সি নামক ৩ টি কুকুর আছে যার ১ টিকে কাজে লাগানো হবে মাদকদ্রব্য চিহ্নিত করতে। অন্য ২ টিকে লাগানো হবে অস্ত্র চিহ্নিত করার কাজে। কুকুর তিনটির ঘ্রাণ শক্তি খুবই প্রখর। এদের ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও ব্যবহার অনেক কমানো সম্ভব হবে। সীমান্ত দিয়ে রসুন পাচার হচ্ছে আমরা কঠোর আছি লোক বল কম হওয়ায় এবং ভারতের বাজারে রসুনের দাম চড়া বলে এটা পাচার হচ্ছে। তবে আমাদের এ ব্যাপারে কোণ ত্রুটি নেই।এ পর্যন্ত আমরা ৪/৫ টন পাচার কালে রসুন আটক করেছি। ফেন্সিডিল তৈরির ৪৮ টি কার খানা এ পর্যন্ত আমরা নষ্ট করতে সক্ষম হয়েছি । যার মধ্যে সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী আছে কয়েকটি। চামড়া পাচার রোধে আমরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছি ৮০/৯০ পিচ চামড়া এ পর্যন্ত আমরা পাচার কালে আটক করেছি। তিনি আরো জানান, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনারা আমাদের সহযোগিতা করলে সীমান্তে যে কোণ ধরণের অপরাধ বহুলাংশে আমরা হ্রাস করতে সক্ষম ।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নাজমুল হক/সাতক্ষীরা