পশ্চিম সুন্দরবনে কাঁকড়া শিকার করেত যাওয়া ১৪ জেলেকে বনদস্যু মজনু বাহিনীর সদস্যরা অপহরন করেছে বলে জানা গেছে। অপহৃতদেও নাম পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে জানা না গেলেও সকলেই উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ও গাবুরা এলাকার বাসিন্দা বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে অপহৃতদের পরিবারের নিকট থেকে টাকা আনার জন্য একটি নৌকাসহ দু’জন জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
ফিরে আসা জেলেদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশীরা জানিয়েছে গত দাতিনাখালী গ্রামের জব্বার সানার ছেলে রবিউল ইসলামসহ মোট ১৬ জন কাঁকড়া শিকারী ৫/৭ দিন আগে পাশ পারমিট নিয়ে পশ্চিম সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে যায়। সুত্রগুলো আরো জানায় মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আংরাকর্না বালির ঝাকি নামক স্থানে অবস্থানকালে বনদস্যু মজনু বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা অস্ত্রেও মুখে ৮টি ডিঙি নৌকাসহ ১৮ জনকে অপহরন করে এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় বনদস্যুরা অপহৃতদের পরিবারের নিকট থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য রবিউলসহ তার এক সহযোগী জেলেকে লোকালয়ে ফিরে আসার সুযোগ দিলেও অপর অপহৃতদের মুক্তিপণের দাবিতে আটক রাখে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
অপর একটি সুত্র জানিয়েছে মজনু বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে দাতিনাখালরি খোকন সরদারের ছেলে আজিজুলকে সনাক্ত করেছে জেলেরা। তারা আরো জানিয়েছে মুক্তিপণ বাবদ দাবিকৃত টাকার মধ্যে দশ হাজার টাকা খোন সরদারের নিকট এবং বাকি টাকা সাত দিনের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে পৌছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বনদস্যুরা।
এবিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে খোকন সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় অনেকেই জানান কোকন সরদার তার মোবাইল নম্বও বাইরের কাইকে দেয় না। এছাড়া তার ছেলে আজিজুল দীর্ঘদিন ধরে মজনু বাহিনীর প্রধানের সহয়োগী হিসেবে সুন্দরবনে দস্যুতা চালিয়ে আসছে এবং বর্তমানে সে বনের মধ্যে রয়েছে বলেও তারা প্রতিবেদককে নিশ্চিতভাবে জানিয়েছে।
রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম জানিয়েছে জেলে অপহরনের বিষয়ে তাদেও নিকট কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নাজমুল হক/সাতক্ষীরা