সাতক্ষীরায় ইঞ্জিন ভ্যান চালকদের হাতে একটি যাত্রীবাহী বাস ভাংচুর ও চালককে মারপিট করার ঘটনায় এবং সদর থানার ওসির আসলাম খানের ঔদ্যত্তপূর্ন আচারনের প্রতিবাদে বুধবার সন্ধায় থেকে জেলার সব কয়টি রুটে অনিষ্টিকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। জেলা বাস মিনিবাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় বেলা তিনটা হতে জেলার ৭ টি রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে হঠাৎ করে জেলার সব কয়টি রম্নটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়ে যাত্রীরা। বিশেষ করে মহিলা ও শিশু যাত্রীদের পড়তে হয়েছে চরম বিপাকে। শহরের বিভিন্ন বাস স্টান্ডে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসের অপেক্ষয় যাত্রীদের দাড়িয়ে তাকতে দেখা যায়।
বাস চলাচল বন্ধ হয়ে য়াওযায় অনেককে দ্বিগুন টাকা খরচ করে বিকল্প পথে গন্তব্যে ফিরতে হয়েছে। জেলার সকল রুটে নসিমন-করিমন (ইঞ্জিন ভ্যান) চলাচল বন্ধ করার পাশাপাশি জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতির সাথে ঔদ্যত্তপূর্ন আচারন করায় সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসলাম খানের প্রত্যাহার দাবি করেছে শ্রমিকরা।
দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু জানান, পূর্বদিনের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নসিমন-করিমন এর চালকরা সঙ্গবদ্ধভাবে বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের পুষ্পকাটি ইটভাটার কাছে সাতক্ষীরা গামী ঢাকা মেট্রো-১১- ০১৫৫ নম্বর একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় তারা গাড়ির চালক রানাকে ও বেদম মারপিট করে।
এঘটনা জানার পর সদর থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম খানকে বিষয়টি অবহিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়। রাস্তায় নসিমন-করিমন চলাচল বন্ধ না করলে শ্রমিকরা ধর্মঘটে যাবে বললে তিনি উপস্থিত সকরের প্রতি ঔদ্যত্তপূর্ন আচারন করেন।
ওসি উত্তেজিত হয়ে বলেন শ্রমিকরা পরিবহন ধর্মঘট ডাকলে তার কিছুই এসে যায় না। পেটে খিদে লাগলে ২/১ দিন পর আবার ঠিকই রাস্তায় গাড়ি চালাবে। ওসির এহেন আচারনে ক্ষুব্ধ হয়ে জেলার সকল রুটে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে অনিষ্টিকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন শ্রমিকরা অবিলম্বে সদর থানার ওসি আসলাম খান এর প্রত্যাহার ও সড়কে নসিমন করিমন চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে। দাবি পূরণ না হলে জেলাব্যাপী পরিবহন ধর্মঘট অব্যহত থাকবে বলে তিনি জানান। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম খান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ
অস্বীকার করে বলেন, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু’র কথামত আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনাস্থল দেবহাটা উপজেলার মধ্যে হওয়ায় সদর থানার পুলিশ সেখান থেকে ফিরে আসে।
পরে দেবহাটা থানাকে বলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল বলে তিনি জানান।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নাজমুল হক/সাতক্ষীরা