রোববার বেলা ১টার দিকে কলারোয়ায় কলেজ অধ্যাক্ষের নামে ঝাড়–দার কর্তৃক মামলা ও ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষনের নামে ২ লাখ টাকা নিয়ে আতœসাৎ করায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় দুই উপ-পুলিশ পরিদর্শকসহ ৫ পুলিশ সদস্য লাঞ্চিত হয়েছে।  জানা গেছে, কলারোয়া শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের ঝুড়–দার ফজিলা খাতুন ওই কলেজের অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করেন। এবিষয়ে গতকাল রোববার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সাংবাদ প্রকাশ হলে কলেজ অধ্যাক্ষের নেতৃত্বে একটি মিছিল কলেজ ক্যামপাস থেকে বের হয়। এর আগে  কলেজের একটি অংশ ও ২/৩ ছাত্র মিছিল নিয়ে উপজেলায় অবস্থান নেয়। তাদের দাবী গত ১বছর আগে কলেজের ৭শ ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষন কোর্সের নামে প্রত্যেকের নিকট থেকে ২৫০ টাকা নিয়ে আতœসাত করে। এ ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন। ইউএনও ছাত্র-ছাত্রীদের দরখাস্ততের ভিক্তিতে স্বারক নং-উঃ নিঃ আঃ/কলাঃ/৬-৮/২০১১-২০৭ আদেশে গত ২২ ফেব্র“য়ারী একটি নোটিশ জারি করেন কলেজের বাংলা প্রভাষক রফিকুল ইসলামের নামে। গত ২৮ ফেব্র“য়ারী বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কলেজ অধ্যাক্ষ রইচউদ্দিন ও প্রভাষক রফিকুল ইসলামকে ১০ দিনের সময় দিয়ে সুমদয় টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ অমান্য করে ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা ফেরত না দেওয়ায় গতকাল রোববার ছাত্র-ছাত্রীরা টাকা ফেরত চেয়ে উপজেলায় মিছিল বের করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে দুই পক্ষকে সান্ত করতে বেরিকেট দেয় রাস্তায়। এসময়ে কলেজ অধ্যাক্ষ রইচউদ্দিনের নেতৃত্বে শিক্ষকরা পুলিশের বাঁধা ভেঙ্গে দুই এসআইসহ ৫জন পুলিশ সদস্য কে লাঞ্চিত করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গতঃ কলারোয়া পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের এন্তাজ মোড়লের স্ত্রী ফজিলা খাতুন উপজেলার শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের নিয়োগ প্রাপ্ত ঝাড়–দার হিসাবে দীর্ঘ দিন যাবত সুনামের সহিত কাজ করে আসছেন। তার উপর কু-নজর পড়ে ওই কলেজের অধ্যাক্ষ রইচউদ্দিনের। কাজের ফাঁকে প্রায় সময়ে কলেজ অধ্যাক্ষ মোঃ রইচউদ্দিন ঝাড়–দার ফজিলা খাতুনকে কুপ্রস্তার দিয়ে আসছিল। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়  ঝাড়–দারকে কলেজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে অধ্যাক্ষ রইচউদ্দিন। হঠাৎ গত ২৬ মে ১১ তারিখ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কলেজ অধ্যাক্ষ রইচউদ্দিন ঝাড়–দার ফজিলা খাতুনকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে  পূর্নরায় কুপ্রস্তার দিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে কামলিপ্ত চরিতার্থ করার জন্যা জাপটাইয়া ধরে এসময়ে ঝাড়–দার ফজিলা খাতুন ডাক চিৎকার দিলে কতক স্বাক্ষী ঘটনা স্থালে আসলে সে রক্ষা পায়। এঘনাটি কলেজ সভাপতি তালা-কলারোয়ার এমপি মুজিবুর রহমানকে লিখিত ভাবে জানান ওই ঝাড়–দার।এরপর গত ২৫ ডিসেম্বর ১১ সকালে উপজেলার তুলসীডাঙ্গা গ্রামের পাকা রাস্তার উপরে ঝাড়–দার ফজিলা খাতুনকে দেখে কলেজ অধ্যাক্ষ রইচউদ্দিন অশিলন ভাষায় গালি গালাজসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের ঝাড়–দার ফজিলা খাতুন বাদী হয়ে চরিত্রহীন কলেজ অধ্যাক্ষ রইচউদ্দিনকে আসামী করে বিজ্ঞি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরায় ৩৫৪ /৫০০ /৫০৬ /৫০১ দঃ বিঃ ধারায় একটি মামলা সিআর -নং-৩৯৩/১১ দায়ের করেন। এদিকে ঝাড়–দার মামলা করায় কলেজ অধ্যাক্ষ রইচউদ্দিন তার লাঠিয়াল বাহিনি দিয়ে মামলার বাদীকে হুমকি প্রর্দশন করছে বলে গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নাজমুল হক/সাতক্ষীরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here