জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ::
বাংলা সাহিত্যে অমিতাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকাব্যের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চলছে সপ্তাহব্যাপী “মধুমেলা”।
গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল যশোর জেলা প্রশাসক মো: আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ মধুমেলা উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। আর
এ মেলা চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। মধুমঞ্চে প্রতিদিন কবির জীবন ও সাহিত্য কর্মের আলোচনা সভা, নাটক ও যাত্রাপালাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ মধুমেলাকে কেন্দ্র করে কবির জন্মভূমি কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার লাখো মানুষেমানুষের পদচারণায়নমুখরিত হয়ে উঠেছে। নামকরা সংগীত শিল্পী মনির খান ইতিমধ্যে মধুমঞ্চে সংগীত পরিবেশন করে দদর্শকদের মাতিয়েছেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে কবি, সাংবাদিক ও অধ্যাপক আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনক। একজন কবিকে নিয়ে এত বড় আয়োজন দেখে সাগরদাঁড়িবাসীকে জানাই লাখো সালাম। ২৭ জানুয়ারি রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকালীন ঘটনা নিয়ে নাটক অনুষ্ঠিত হয়।
চলছে সার্কাস। সার্কাস প্যান্ডেলে সার্কাস প্রদর্শন ছাড়াও চলচিত্র শিল্পীরা উপস্থিত হয়ে দদর্শকদের মনোরঞ্জন করছে। এ ছাড়া যাদু প্রদশর্নী, কৃষিমেলা, মৃত্যুকূপ, কুটিশিল্প, নাগোরদোলা, বিচিত্রা অনুষ্ঠান সহ নানা রকমের পসরা বসেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জানা গেছে, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি (বাংলা ১২ মাঘ) যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদ সংলগ্ন সাগরদাঁড়ী গ্রামের ঐতিহ্যবাহি দত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা রাজ নারায়ন দত্ত, মা জাহ্নবী দেবী।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত অসুস্থ্য হয়ে ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতাস্থ আলীপুরের জেনারেল হাসপাতালে বেলা ২ টার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৩০ জুন সেন্ট জেমস চার্চ এবং ধর্মযাজকের উদ্যোগে খৃষ্টীয় রীতি অনুযায়ী কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোডের সমাধি স্থলে যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির মরদেহ সমাধি করা হয়।