ইসমাম হোসেন, ডিআইইউ প্রতিনিধি:: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলাের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শােক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি (ডিআইইউসাস)।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি মােঃ জাফর আহমেদ (শিমুল) ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ তাওসিফ (মুছা) এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ শােকবার্তা জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মিজানুর রহমান খান ছিলেন অসাধারণ মেধাবী, স্পষ্টবাদী ও সত্য সন্ধানী সাংবাদিক তিনি বিবেকের তাগিদে যেভাবে আইনের বিষয়ে, ন্যায়বিচারের বিষয়ে এবং মানবাধিকারের বিষয়ে তদন্তমুলক ও বিশ্লেষনমূলক কাজ করেছেন, বাংলাদেশে তার মতাে আর কেউ করেনি। তার এই চলে যাওয়াতে সাংবাদিকতায় বিশেষ করে আইন সাংবাদিকতায় বিরাট শূন্যতার তৈরি হলাে। আইন আদালত ও বিচারবিভাগ নিয়ে তার লেখনির শূন্যতা অনুভব করবে আইনজীবী সমাজ।
শােক বার্তায় ডিআইইউসাস নেতৃবৃন্দ মরহুম মিজানুর রহমান খানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন, এবং শােকার্ত পরিবার পরিজন, গুনগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান সােমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ও ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলাে ৫৩ বছর । তিনি মা, স্ত্রী, তিন সন্তান, পাঁচ ভাই, তিন বােনসহ অসংখ্য আত্নীয়স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মিজানুর রহমান খান করােনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলেন। করােনার নমুনা পরীক্ষায় গত ২ ডিসেম্বর রিপাের্ট পজিটিভ আসে। প্রথমে গত ৫ ডিসেম্বর তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর শারীরিক সমস্যা বাড়লে সেখান থেকে গত ১০ ডিসেম্বর তাঁকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানাে হয়। সেখানে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে তাঁকে লাইফ সাপাের্টে নেয়া হয় । সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘােষণা করেন। সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান ১৯৬৭ সালের ৩১ অক্টোবর ঝালকাঠির নলছিটিতে জন্মগ্রহণ করেন।