শনিবার ছিল জাতীয় সমবায় দিবস। দেশের নানা স্থানে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলেও দিবসটি পালিত হয়েছে। তবে এখানে দিবসের নামে হয়েছে চাঁদাবাজির মতো ঘটনা।
খোদ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করে বলেন দিবসটি পালনে সরকারি বরাদ্ধ অতি নগন্য, সেই টাকাও কবে পাওয়া যাবে তার নেই কোনো নিশ্চয়তা। তাই বাধ্য হয়েই একাধিক সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছি। ওই চাঁদা আদায় কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন আমাদের সমবায়ী সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতা।
সূত্র জানায়, সরাইল উপজেলায় ১৫২ টি সমবায় সমিতি রয়েছে । তবে সক্রিয় রয়েছে ২০/২৫টি সমিতি। বাকি সমিতির কার্যক্রম নেই বললেই চলে। শনিবার সমবায় দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানের ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু বিভিন্ন সমিতি ও দফতর থেকে চাঁদা নেয়া হয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সমবায়ীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরাইল আদর্শ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আবদুল খালেক জানান, সমবায় দিবস উপলক্ষে অন্যদের ন্যায় আমরাও সমিতির ফান্ড থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি। তারা বেশী দাবি করেছিল। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কথায় আমরা এই চাঁদার টাকা প্রদান করেছি। উপজেলা বিআরডিবি’র দপ্তর সূত্র জানায়, তারাও তিন হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, সরকারী বরাদ্দ চাহিদার চেয়ে অনেক কম। তাই সমিতিগুলোর কাছ থেকে পাঁচশত থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়েছি। এ টাকা কমিটির মাধ্যমে খরচ করা হয়েছে। তবে সর্বমোট কত টাকা উঠানো হয়েছে, এর হিসেব আমার কাছে নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন বলেন, অনুষ্ঠান পালনে সরকারী বরাদ্দ কাটাকাটির পর মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পাবেন। তাও আবার ২/৩ মাস পর। তাই স্থানীয়ভাবে কিছু টাকা উঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা আছে।
ইউনাটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মোহাম্মদ মাসুদ/সরাইল