ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বিশ্বরোড মোড়ে জেলা সড়ক ও জনপথের (সওজ) অবৈধ পন্থায় দোকান করে ভাড়া আদায় ও সি এন জি অটোরিক্সার ভাড়াকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রাম বাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের কারনে মহাসড়কে তিন ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। র্যাব, পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আহতদের সরাইল, জেলা সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বিশ্বরোড মোড়ে সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় অবৈধ ভাবে দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে সদর উপজেলান খাটিহাতা গ্রামের আঃ রউফ। বিষয়টিকে কেন্দ্র সরাইল উপজেলার কুট্রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে রউফের মনো মালিন্য চলছিল। গত রোববার রাতে কুট্রাপাড়া গ্রামের সি এন জি চালক মুর্শেদের ভাড়া নিয়ে রউফ বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রউফ ও তার ছেলে বাবু মিয়া (২৪) মুর্শেদকে ব্যাপক মারধর করে। এ ঘটনায় উভয় গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল সকালে দু’গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক দাঙ্গাবাজ দেশীয় অস্রে সজ্জিত হয়ে মহাসড়কের উপর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বিশ্বরোড মোড়ের সকল দোকানপাট ব্ন্ধ হয়ে যায়। ৪/৫ টি ফলের দোকান লুটপাট হয়। এ সময় ঢাকা-সিলেট, ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের তিন দিকে ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। দূর পাল্লার যাত্রী ও পথচারীরা চরম দূর্ভোগে পড়েন। সংঘর্ষের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেলে এক সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। খবর পেয়ে সদর থানা, সরাইল থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও র্যাব-৯ এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪৩ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্তিতি স্বাভাবিক করেন। তিন ঘন্টা স্থায়ী সংঘর্ষে সরাইল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা চন্দন চক্রবর্তী, এস আই মোঃ সফিকুল ইসলাম ও কন্সটেবল মেহেদী হাসান সহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত লোকমান (৩৫), মুর্শেদ (২৮) ও তফছির (২৩) কে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মোহাম্মদ মাসুদ/সরাইল