মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে এক ডাক্তারের ভাইয়ের বৌ-ভাত অনুষ্টানে কর্মরত ডাক্তার-কর্মচারীরা আনন্দ-ফুর্তিতে ব্যস্ত থাকায় রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে চরম দূর্ভোগে পড়ার অভিযোগ ওঠেছে।
বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রমজান মাহম্মুদকে বারংবার জানালেও তিনি কোনো প্রতিকার নেননি।
ফলে আগত রোগীসহ সর্বমহলে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর)ওই হাসপাতালে কর্মরত ডাঃ তানভীর হাসান ঝিকুর ছোট ভাই জসি আহাম্মেদের বৌ-ভাত অনুষ্টানের আয়োজন করেন হোসেনপুর স্বাস্থ্য কমপে। লক্সের ভিতরে।
ফলে বিয়ে উপলক্ষে হাসপাতালের ডাক্তার কোয়ার্টারসহ মূল ভবনের সামনে বিশাল প্যান্ডেল, গেইট ও আলোকসজ্জার কারনে দুর-দুরান্ত থেকে আগত রোগীদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়।
কেন না ওই বিয়ের অনুষ্টানে আমন্ত্রিত ডাক্তার কর্মচারীরা সকাল থেকেই আমোদ-ফুর্তিতে ব্যস্ত থাকায় ডাক্তারদের সেবা পায়নি রোগীরা।
অনেক গুরুতর রোগীর অভিভাভকরা বারবার চেষ্টা করেও একজন ডাক্তারেরও দেখা পায়নি।
তাছাড়া বাদ্যযন্ত্রের শব্দের কারনে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদেরও শব্দ দূষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।ফলে বাধ্য হয়েই অনেক রোগীরা অন্যত্র চিকিৎসার জন্য চলে গেছেন।
বিষয়টি স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে তথ্যসংগ্রহকালে চিকিৎসা নিয়ে আসা উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের মরিয়ম আক্তার,পাঁচবাগ গ্রামের আব্দুল হক ও কড়ইকান্দি গ্রামের বিল্লল হোসেনসহ অনেকেই জানান, তারা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধ রোগী নিয়ে হাসপাতালে তিন-চার ঘন্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার না পেয়ে স্থানীয় একটি বে-সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এতে একদিকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে,অন্যদিকে রোগী নিয়ে সারা দিন চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রমজান মাহমুদ জানান, ডাঃ তানভীর হাসান জিকুর ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্টান হাসপাতালের ভিতরে অনুষ্টিত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও রোগীরা চিকিৎসা ছাড়া চলে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।