স্টাফ রিপোর্টার :: অবশেষে আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রবিবার ভোরে কুমিল্লার নিভৃতপল্লি ভারতের সীমান্তঘেঁষা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে সহযোগী যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানসহ গ্রেফতার করা হয়। সম্রাট যুবলীগ ঢাকা মহানগরের (দক্ষিণ) সভাপতি। আর আরমান একই কমিটির সহসভাপতি।

কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের যে বাড়িটি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই বাড়িটি ফেনী পৌর মেয়র ও স্টার লাইন পরিবহনের মালিক হাজি আলাউদ্দিনের ভগনিপতি ও স্টার লাইন পরিবহনের পরিচালক জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর।

এছাড়া সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন চৌধুরীর মহাখালী ডিওএইচএসের বাসা, শান্তিনগরে তার ভাই বাদলের বাসা ও মিরপুরে আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। গ্রেফতারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাদের কাছ থেকে বিদেশি মদও পাওয়া গেছে। এ কারণে আরমানকেও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে রাতে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জ ও আরমানকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কি অভিযোগে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হবে উল্লেখ করে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সবগুলোতেই তার নাম পাওয়া যাচ্ছিল। তখনই তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা শুরু করে র‌্যাব। কিন্তু পালিয়ে যান সম্রাট। বারবার স্থান বদলের কারণে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে অবস্থান নিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here