বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের সহযোগিতাও দিতে প্রস্তুত দেশটি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নব-নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা এসব কথা বলেন।
বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন মজিনা।
প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকে নতুন রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার সঙ্গে দুই দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে তৈরি পোষাক শিল্পসহ ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জবাবে মজিনা বলেন, ‘আমেরিকা চায় সব দেশেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক।একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন কীভাবে হবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা ও জনগণ সেই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য নির্বাচন প্রক্রিয়াও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে এশিয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব রয়েছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় সর্ম্পক রাখতে চায়।
যুদ্ধাপরাধ বিচার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্টিফেন জে র্যা প কাজ করছেন। তিনি দুই বার বাংলাদেশে এসেছেন। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক, সরকার পক্ষ এবং আসামি পক্ষের কুশলীদের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা করেছেন। আমি মনে করি- তার ভূমিকা পজিটিভ।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এ সাক্ষাৎ সৌজন্যমূলক ছিলো জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, ‘অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গড়ে উঠা নিবিড় সম্পর্ক ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসলে অব্যাহত রাখবে বলে বিরোধীদলীয় নেতা রাষ্ট্রদূতকে জানান।’
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর গত ১৯ নভেম্বর ঢাকায় আসেন মজিনা। ২৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা