ডেস্ক রিপোর্ট:: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সড়ক ব্যবহারে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে, ট্র্যাফিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। পথচারী, সাইকেল চালক, রিকশাসহ সব পরিবহনের যাত্রী ও চালকদের জন্য সড়ক নিরাপদ হোক। আসুন আমরা দায়িত্বের সঙ্গে গাড়ি চালাই এবং সড়ককে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলি।

রোববার (১৯ নভেম্বর) গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান। ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রান্স ফর রোড ট্র্যাফিক ভিকটিমস অর্থাৎ সড়কে মৃত্যু ও ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণে একটি বৈশ্বিক দিবস হিসেবে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মনে রেখো, সমর্থন করো এবং ভূমিকা রাখো’।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, রোড ক্র্যাশ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করে। ঢাকায় ছোট গাড়ির আধিক্য যানজটের অন্যতম কারণ। আবার যানজট হতে মুক্ত হলে বেপরোয়া গতি লক্ষ্য করা যায়। যান্ত্রিক যানগুলো জেব্রা ক্রসিং ও সিগনালে সঠিকভাবে থামলে পথচারীদের সড়ক পারাপারে ঝুঁকি কমে আসবে। এছাড়া, ঢাকার অনেক সড়ক পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে সেগুলো ব্যবহারেও পথচারীদের ঝুঁকি কমে আসবে।

তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সির সড়কগুলোকে নিরাপদ করার জন্য আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি। বিশেষত, ডিএনসিসি ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের বৈশ্বিক সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এর আওতায় ঢাকা উত্তরের জনগণের জন্য নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ফুটপাত নির্মাণ, জেব্রা ক্রসিং অঙ্কনসহ অবকাঠামোগত উন্নতি, ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার সমন্বয় এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই প্রচেষ্টায় সবার সমর্থন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা। এতে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) এস এম মেহেদী হাসান, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মু. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক ড. আর্মানা সাবিহা হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলমসহ অনেকে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here