ডেস্ক রিপোর্ট::  নারী উদ্যোক্তাদের কাজের সক্ষমতা তৈরি, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, পরামর্শ প্রদান ইত্যাদির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। দীর্ঘ ২২ বছরের এই পথ চলায় সম্প্রতি রাজধানীর আজমপুরে হোয়াইট হলে আয়োজন করা হয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের মেলা। যেখানে নারীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

নারী উদ্যোক্তাদের এই মেলার একটি স্টলে কথা হয় উম্মে হাবিবা লাবনির সঙ্গে। নানা চরাই-উতরাই ,বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়ে আজকে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি জানিয়েছেন তার সেই সফলতার গল্প। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মামুনূর রহমান হৃদয়।

আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যদি একটু বলতেন?

উম্মে হাবিবা লাবনি: আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম ‘The Closet Cloud’. এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধর আমি। আমার প্রতিষ্ঠান নারীদের কাপড় নিয়ে কাজ করে। বিশেষভাবে আমরা মসলিন শাড়ি নিয়ে কাজ করি। পাশাপাশি বেশ কিছু কাপড় আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নকশায় তৈরি। এছাড়াও পাকিস্তানি , দিল্লী বুটিক্স নিয়েও আমার প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে।

শুরুতে কত টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নেমেছিলেন?

উম্মে হাবিবা লাবনি: শুরুতে অল্প অল্প করে আমার আগাতে হয়েছে। বিনিয়োগ করবো কতটুকু করবো এই নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। এখনো মনে আছে দশ বছর আগে যখন আমি আমার প্রতিষ্ঠানটি শুরু করি মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসায় নেমেছিলাম।

কোন বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন কি না?

উম্মে হাবিবা লাবনি: বাঁধার সম্মুখীন হয়েছি বললে ভুল হবে। বিশাল বিশাল বাঁধার সম্মুখীন হয়েছি। এই বাধাগুলো পেরিয়ে আজকে এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। প্রায় দশ বছর ধরে আমার প্রতিষ্ঠান। দশ বছরে অনেক শ্রমের বিনিময়ে একটি ফ্যাক্টরি দিয়েছি। যেখানে আমি আমার কালেকশনের ডিজাইন করে থাকি। বর্তমানে অনলাইনে আমার ব্যবসাটাকে আরও শক্ত অবস্থানে নেয়ার চেষ্টায় আছি।

দীর্ঘ এই পথ চলায় পারিবারের ভূমিকা কেমন ছিল?

উম্মে হাবিবা লাবনি: পারিবারিকভাবে বললে বিশেষ করে আমার স্বামীর ভূমিকা অনেক ছিল। তিনি আমাকে কোন কাজে না করেননি। সব সময় আমার পাশে ছিলেন। আমার সব কাজে উৎসাহ যোগাতেন।

করোনাকালীন সময়ে আপনার প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে সামলেছেন?

উম্মে হাবিবা লাবনি: করোনাকালীন সময়ে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে লসের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। আমার নিজের একটি শোরুম ছিল । তবে সে সময় মানুষের আর্থিক টানাপোড়েনে শোরুমের কাপড়ের চাহিদা কমে যায়। এরপর আমার শোরুমটা বন্ধ করে দিতে হয়। এই একটা বড় ধাক্কা গিয়েছে। আর এক বছরের মতো কারিগরদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হয়েছে। কারণ আমার নিজের হাতে গড়া কারিগরদের চাইলেই ছাড়তে পারছিলাম না। তাই আমি এখনো বলব আমার জীবনের বড় ধাক্কা এটি।

করোনার পর আবারও ঘুরে দাড়াতে আপনার কেমন সময় লেগেছে?

উম্মে হাবিবা লাবনি: দু’বছরের মতো সময় লেগেছে। এখন আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আগের যেই জৌলুস, মনে হছে সেটা ফিরে পেয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here