
ফরহাদ খাদেম, ইবি সংবাদদাতা ::
ছয় তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মারা গেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভূমি ও আইন ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধা।
আজ বুধবার (০৯ জুলাই) বিকেলে নিহত নওরীনের লাশ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তার বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমি তার পরিবার থেকে জানতে পারলাম, বিকেলে নওরীনের লাশ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যার দিকে গ্রামে বাড়িতে তার লাশ পৌঁছাবে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নওরীনের মৃত্যু হয়েছে এটা মেনে নিতেই কষ্ট হচ্ছে। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ক্ষতি হয়েছে, এটা পোষানোর মতো নয়। তার মতো মেধাবী শিক্ষার্থী শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের জন্য একটি সম্পদ ছিল। আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় ছয় তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্নহত্যা করেন নওরীন। তার পরিবার ও সহপাঠী সূত্র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধা টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার ইসলামবাগ গ্রামের খন্দকার নজরুল ইসলামের মেয়ে। গত ২১ জুলাই চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার কলা কান্দা গ্রামের মৃত জহিরুল আলমের ছেলে ইব্রাহিম খলিলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিয়ের পর তার স্বামীর সাথে ঢাকা সাভারের আশুলিয়ায় পলাশবাড়ী নামাবাজারের পাশে বিজয়নগর রোডে আব্দুর রহিমের মালিকানাধীন বাড়িতে থাকতেন নওরীন। সেখানেই তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিলো। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। সেই সাথে তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা বিতার্কিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, বিভাগের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শোকবার্তা দিয়েছেন। শোকবার্তায় তারা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।