ইমা এলিস/ বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক ::
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করতে চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা মার্কিন মুদ্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহজশর্তে ঋণ প্রদান করবে।  সহায়তা দেবেন বলে জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক স্থানীয় সময় ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশেনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট এই সহায়তার ঘোষণা দেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জনিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘদিনের বন্ধু অজয় বাঙ্গা বলেন, কমপক্ষে ২ বিলিয়ন ডলার হবে নতুন ঋণ এবং আরও ১.৫ বিলিয়ন ডলার বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে পুনঃব্যবহার করা হবে। বিশ্বব্যাংক ডিজিটালাইজেশন, তারল্য সঙ্কট উত্তরণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং পরিবহন খাতের সংস্কারে সহায়তা দিতে এই ঋণ দেবে। সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহীত ব্যাপকভিত্তিক সংস্কার কর্মসূচির জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বিশ্বব্যাংকের ঋণ কর্মসূচিতে উদ্ভাবন আনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দেশ পুনর্গঠনের এটি একটি বড় সুযোগ।”
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি খাতের সহযোগিতা এবং নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ কীভাবে ভারত ও বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ভাগ করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন। সাক্ষাৎকালে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা মার্কিন মুদ্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম গেটস ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্যখাতে অনুদান বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শফিকুল আলম প্রেস ব্রিফিং-এ জানান, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যত খুন ও গুমের ঘটনা ঘটেছে সব ঘটনার তদন্ত হবে। এ জন্য আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনে ৫ সদস্যের একটি পুর্ণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই খুঁজে বের করবে বাংলাদেশে কাকে কোথায় এবং কোন আয়না ঘরে রাখা হয়েছিল। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে । স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, গত জুলাই থেকে ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত সকল গুম ও খুনের তদন্ত করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। হিউম্যান রাইটস তারা যখন তদন্ত শুরু করবেন তখন সব ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের সঙ্গে চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কথা হয়েছে কীভাবে চায়নার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ করা যায়। চায়নার প্রকল্প সোলার প্যানেল বাংলাদেশে আসার কথা ব্যক্ত করেছেন চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রী। যদি এই প্রকল্প আসে তবে এটা হবে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এতে দেশের মানুষ বেশ উপকৃত হবে এবং বাংলাদেশ হবে সোলার প্যানেলের একমাত্র আমদানিকারক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here