সংযোগের আগেই পড়ে গেল তারসহ ১১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি

কলিট তালুকদার, পাবনা প্রতিনিধি :: পাবনার টেবুনিয়া-পাবনা মহাসড়কের গাছাপাড়া থেকে বালিয়াহালট স্কুল পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সুউচ্চ ১১ টি তার টাঙানোসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি সংযোগ দেওয়ার আগেই উপড়ে পড়েছে। এতে অল্পের জন্য রাক্ষা পেয়েছে বসত বাড়ি, অফিস ও সীমানা প্রাচীর।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদারের গাফিলতি আর কাজের মান নিম্নমানের হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে দাবী করেছে পিডিবি’র পাবনাস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার রফিক দাবী করেছেন, পিডিবি’র অসহযোগিতার কারণেই এমনটি হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তরিঘরি করে শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত লাইন ও বৈদ্যুতিক খুঁটি প্রতিস্থাপনের কাজ করছেন। পাবনা শহরের প্রবেশ দ্বার গাছপাড়া ব্র্যাক টার্ক অফিস থেকে বালিয়া হালট আমজাদ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ১১ টি লাইন টাঙানোসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি বসত বাড়ি, সীমানা প্রাচীর ও পুকুরের মধ্যে উপড়ে পড়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার রফিক জানান, পাবনা শহরের নুরপুৃর থেকে টেবুনিয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ২শ’ বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো ও লাইন টাঙানোর কাজ করছেন তিনি। ইতোমধ্যে সবকটি খুঁটি বসানোর পর রোববার লাইন টাঙানো হয়েছে। আগামি জুনের ৩০ তারিখে ৩৩ কেভি লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। ঠিাকাদার রফিকের দাবী, পিডিবি কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে বসানো খুঁটির এক সাইডে সব তার টাঙানোর ফলে লোড বেশি হওয়ায় এবং রোববার সন্ধ্যার পর অতিমাত্রায় বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসে খুঁটিগুলো উপড়ে গেছে।

সংযোগের আগেই পড়ে গেল তারসহ ১১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি

স্থানীয়রা বলছেন, ঠিকাদারের লোকজন মাটি খুঁরে কোনমতো খুঁটি বসানোর সাথে সাথে তার টাঙিয়ে দিয়েছে। গোড়ায় মাটি না থাকায় ফলে সামান্য ঝড়েই খুঁটি গুলো পড়ে গেছে।

বালিয়াহালট গোরস্তানের কাছে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিকের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, ঠিকাদার যেভাবে কাজ করার জন্য বলেছেন, তার বাইরে যাওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। বিল যেহেতু ঠিকাদার দেন, সেহেতু ঠিকাদারের কথা মতই আমরা কাজ করছে।

এ ব্যাপারে পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে রাতের আঁধারে খুঁটি বসানোর কাজ করেছে। পিডিবির ১১ কেভি লাইনের পাশ দিয়ে পবিসের ৩৩ কেভি লাইন কখনও পাশাপাশি হতে পারেনা। এতে রণাবেণ কাজের মারাত্বক ব্যাঘাত ঘটে।

নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ৫ ফিট দুরবর্তী তার টাঙানোর নিয়ম থাকলেও সেটা তারা লঙ্ঘন করে ১ ফুট করেছিল। যা বিপজ্জনক। তিনি বলেন,ইতোমধ্যে তাদের ৩৩ কেভি লাইনের কারণে শহর ও আশপাশে বেশ কিছু স্থানে ক্ষতি হয়েছে। সঠিক ও নিরাপদ ভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য উভয় অফিসে একাধিক বার চিঠি আদান প্রদান ও বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু অনিয়মতান্ত্রিক ভাবেই পবিস কর্তৃপক্ষ এই কাজ করেছে। এর দায় ভার পুরোটাই তাদের।

এ ব্যপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাবনাস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here