গণতন্ত্রমানেহচ্ছেজনগনেরশাসন।যেখানেথাকবেসকলমতেরমর্যাদাপরমতসহিষ্ণুতা।থাকবেঅন্যেরঅধিকারেহস্তক্ষেপনাকরারনীতি।আব্রাহামলিঙ্কনতারবিখ্যাতগেটিসবার্গভাষণেবলেছিলেন, Government of the people, for the people by the people. বাংলাদেশেররাজনৈতিকদলগুলোরমধ্যেপারস্পরিকগণতান্ত্রিকমনোভাবআদৌআছেবলেমনেহয়না।ভিন্নমতবলতেরাজনৈতিকদলগুলোরমধ্যেকোনোকিছুইগ্রহণযোগ্যনয়।যেদলযখনক্ষমতায়যায়তখনইশুরুকরেঅগণতান্ত্রিকআচরণ।বিরোধীদলগুলোরউপরনেমেআসেরাজনৈতিকহয়রানিআরনির্যাতন।এজন্যবেবহারকরাহয়পুলিশ।এইচিত্রবাংলাদেশেরমানুষদেখেছেবিগতজামাতবিএনপিজোটেরআমলে।আরএখনদেখছেমহাজোটেরআমলে।নাইকোনোপরিবর্তন।চলেআসছে  একইধারা।সমালোচকেরাবলেনআওয়ামী

লীগবিএনপিনেতৃত্ববাংলাদেশকেশুধুবিভাজনইউপহারদিয়েছে।তাদেরমধ্যেগণতান্ত্রিকসহিষ্ণুতাদেখাযায়নি, দেখাযাচ্ছেনা।আরএরইপরিনামেআসছেহরতাল,অবরোধআরহানাহানী  মূল্যহীন মির্তু। অন্যদিকে  দেশের  সাধারণজনগনেরজীবনদেশেরঅর্থনীতিহচ্ছেনাজুক।

আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। রাজনীতির মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের জন্ম। কোনো সেনা শাসক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় বসে এই দলের জন্ম দেয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ধাপে ধাপে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আওয়ামী লীগের চার নীতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নীতি হলো গণতন্ত্র। অথচ আজ সেই গণতন্ত্রের চর্চা আওয়ামী লীগে নেই। থাকলে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের এমন দুরবস্থা হতনা। অনেকেই বলেন বর্তমান আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র ও সহিষ্ণুতার প্রচন্ড অভাব। দলের এই অবস্থানে কোনো রাজনৈতিক স্থিতিশিলতা আশা করা যায় না। সত্যিকার গণতন্ত্র কায়েমের লক্ষে আওয়ামী লীগকে এখন জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে বিএনপিকেও গণতন্ত্রের নামে জোরপূর্বক হরতাল ও সকল প্রকার ধংসাত্মক কাজ থেকে সরে আসতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ বার বার বলেছে তারা হরতাল চায় না। গণতান্ত্রিক শাসনকে শক্তিশালী করে সকল প্রকার রাজনৈতিক নির্যাতন থেকে দেশকে বাচাতে হলে পারস্পরিক সংলাপ অপরিহার্য। বাংলাদেশের জনগনের আজ এটাই একমাত্র প্রত্যাশা।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে সবচাইতে আলোচিত বিষয় শেখ হাসিনার সাথে বেগম খালেদা জিয়ার সংলাপ। সরকারের সাথে বিরোধী দলের সংলাপ শুরু হলে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক বেবধান কমে আসবে এবং আগামী নির্বাচন অবাদ ও গ্রহণযোগ্য করতে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় সন্দেহ আছে তা একমাত্র সংলাপের মাধ্যমেই দূর করা যেতে পারে বলে অনেকে  মনে করেন। চলমান সংকট, সকল দলের অংশগ্রহনে সুষ্ঠ নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে আরো বেপকভাবে প্রসারিত করতে হলে এই মুহুর্তে সংলাপের বিকল্প ছাড়া আর কিছুই নেই। বাংলাদেশ বর্তমানে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বঙ্গবন্ধুরকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ  হাসিনার উচিত হবে খালেদা জিয়াকে পুনরায় সংলাপে আহবান জানানো। ইতিমধ্যে তিনি নিজে থেকেই উদ্যোগ নিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে টেলিফোনে আলাপ করে প্রশংসিত হয়েছেন। শেখ  হাসিনাকে বুঝতে হবে তিনি সরকার প্রধান, সুতরাং বিড়ালের গলায় ঘন্টা তাকেই বাজাতে হবে। এতে শেখ  হাসিনার মানসন্মান বাড়বে বই কমবে না। দেশের মানুষের শান্তির জন্য এইমুহুর্তে সংলাপ ছাড়া বিদ্যমান সংকট সমাধানের আর কোনো পথ নেই।

বাংলাদেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেত্রী বঙ্গবন্ধুরকন্যাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে দ্রুত একটি বৈঠক হওয়া অত্যন্ত জরুরি  হয়ে পরেছে। এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে আজ চলছে তোলপাড়। অনেকে এধরনের সম্ভবনাকে উড়িয়ে না দিয়ে দেখছেন আশার আলো। দেশের মানুষ হাসিনা-খালেদার মুখোমুখি বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখছে। ডক্টর ফখরুদ্দিন আহমেদের অস্থায়ী সরকারের সময় মাইনাস টু থিওরির আওতায় দুই নেত্রীকে বাদ দিয়ে দেশে পরিবারতান্ত্রিক নেতৃত্ব মুক্ত ও সুস্থ রাজনৈতিক ধারা চালুর চেষ্টা করা হয়েছিল। যারা ঐসময় এই চেষ্ঠা করেছিলেন তারা সম্পূর্ণভাবে বের্থ হয়েছেন। কারণ বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে এই দুই নেত্রী অত্যন্ত প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান। তাদের কোথায় নিজ নিজ দলীয় কর্মীরা জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। সুতরাং প্লাস টু এর ভিত্তিতেই বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। দুই নেত্রীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি অচল। সুতরাং দুই নেত্রীকে একটেবিলে বসানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বাংলাদেশের মানুষও মনে করে তাদের একত্রিত বসা উচিত এবং আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসনের উদ্যোগ প্রয়োজন। সুষ্ঠ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের উত্তরণের লক্ষে পরস্পর পরস্পরকে সম্পুরক শক্তি হিসেবে দেখতে হবে।

আগামী নির্বাচনের পূর্বে রাজনীতিতে গুণগত উত্তরণ ও সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একসঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতেই হবে। তাদের এই সংলাপ বাংলাদেশের রাজনীতি নুতন মেরুকরণের মাধ্যমে জাতির আশা আকাংখা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই দুই নেত্রী অতীতে দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ভবিষ্যতেও তারা আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলেই জনগনের প্রত্যাশা। দুই নেত্রীর পারস্পরিক বাক-বিতন্ডতার অবসান হওয়া উচিত। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে তাদের একত্রে বসা উচিত। তর্ক বিতর্ক অনেক হয়েছে। এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উচিত এসব বন্ধ করে দেশের স্বার্থে সংলাপের টেবিলে বসা। দুই নেত্রীর উচিত একে অপরকে একজন রাজনীতিকের মত আচরণ করা। যদি তারা ঠিক সময়ের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা উপলব্ধি করতে বের্থ হন তাহলে অতীতের মত যে কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

আগামীতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে দুই নেত্রীর মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক ও আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কারণ বর্তমানে দেশে যে সংকট চলছে তা পুনরায় সংঘাতের রাজনীতির দিকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এজন্য দুই নেত্রীর কম বেশি দায় দায়িত্ব আছে বলে দেশবাসী মনে করে। সুতরাং দেশের সংকট নিরসনে দুই নেত্রীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগনের দাবি, জনগনের আশা আকাংখা, সকল প্রকার রেষারেষি ও পাল্টাপাল্টি রাজনীতি পরিহার করে আলোচনা এবং সমঝোতার পথ ধরে দেশের সমস্যা সমাধানে দুই নেত্রীর পারস্পরিক উদ্যোগ অবশ্যই নিতে হবে। রাজনীতিতে মতভেদ, বিরোধ, দন্ধ ও প্রতিযোগিতা থাকবেই। তার মধ্যেও সরকারী ও বিরোধী দলের নেতাদের যোগাযোগ, বৈঠক এবং আলোচনা হওয়া উচিত। গণতন্ত্র ও দেশের প্রয়োজনেই এটা করতে হয়। দুই নেত্রী যদি গুরত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইসুতে একমত হতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতের অনিশ্চিত অবস্থা থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে, দেশের গণতান্ত্রিক বেবস্থা আরো সুদৃঢ় হবে।

বর্তমান মুহুর্তে বিএনপি জামাত জোটের ভয়ংকর কার্যকলাপ দেশকে আবার নুতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। প্রকাশ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীকে পেটানো, ট্রেন ও বাস ট্রাকে আগুন লাগানো, সারা দেশে ত্রাস সৃষ্টি ও বার বার হরতালের দৃশ্য আমাদের অতীতকে পুনরায় মনে করিয়ে দেয়। বাংলাদেশের জনগণ এধরনের ধ্বংসাত্মক আন্দোলনে সমর্থন না জানালেও জোর পূর্বক তাদের গাড়ি পড়ানো হচ্ছে। পিটিয়ে আহত করা হচ্ছে জনগনকে। পক্ষ বিপক্ষের সংঘর্ষে নিরীহ মানুষকে দিতে হচ্ছে প্রাণ। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার তেমনি জনগনেরও অধিকার রয়েছে স্বাধীনভাবে চলাচল করার। গণতন্ত্র সকলের জন্য। কোনো দল বা গোষ্টির একার জন্য নয়। বিরোধী দলের ডাকা হরতাল যে সকলকেই মানতেই হবে এমন কোনো কথা নয়। হরতাল ডাকা যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার তেমনি হরতালের বিপক্ষে অবস্থান নেয়াও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতন্ত্রের নামে এধরনের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ করে বিএনপি জামায়াত জোট দেশের আইন তাদের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এইকারণে ভবিষ্যতে হয়তো একদিন জনতা হরতালের বিরুদ্ধে স্বতস্ফুর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসতে পারে। সেই বিষয়টা কি বিএনপি জামায়াত জোট একবার ভেবে দেখেছে? তাদের এই জোরপূর্বক ডাকা হরতাল হরতাল আন্দোলনের কারণে উল্টো লাভবান হতে পারে বিপক্ষ শক্তি।

বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলোকে বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে এগুতে হবে। আন্দোলন ধারায় পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। জনগণ হরতাল চায় না। জোর করে এভাবে আর জনগনের উপর হরতাল চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। হরতালে দেশ ও জাতির ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই হয় না। সকল প্রকার ধ্বশাত্মক কার্যকলাপ পরিহার করে আন্দোলনকে ভিন্ন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বিরোধী জোটকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে হরতাল পরিহার করে অল্টারনেটিভ চিন্তা ভাবনা করা উচিত। জনগণ হরতাল বিরোধী।

বাংলাদেশের রাজনীতির নীতি ও চরিত্র রয়েগেছে ঠিক আগের মতই। ক্ষমতায় বসে সর্ব শক্তি দিয়ে ক্ষমতাকে ধরে রাখা একটি রাজনৈতিক কালচারে পরিনত হয়েছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো গনতন্ত্র নেই। আছে একনায়কতন্ত্র। আমরা আশাকরি রাজনৈতিক নেতারা তাদের কর্মের মাঝে দেশের সাধারণ মানুষের আশা আকাংখার প্রতিফলন তুলে ধরবেন। দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধান ও স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে সংলাপে এগিয়ে আসবেন। আমরা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আর পেছনে নয়। আমরা আশাকরি সরকার ও বিরোধী দল অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষে সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। পাল্টাপাল্টি রাজনীতি পরিহার করে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন সমঝোতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সংলাপ। সুতরাং আসন্ন সংকট সমাধানে সংলাপে বসুন।

 

মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু/

wkhan3@hotmail.com

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here