ডেস্ক নিউজ :: মসজিদ এবং মুসলিমদের মালিকানাধীন দোকানে হামলার ঘটনার পর শ্রীলঙ্কায় ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ চিলাউ শহরে রবিবার মসজিদে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ফেসবুকে বির্তকে জড়িয়ে পড়েন মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। সোমবার আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের খবরে তা বলা হয়েছে।
ভুল তথ্য ও গুজব ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কান সরকার।
সরকারি তথ্য বিভাগের মহাপরিচালক নালাকা কালুভায় রয়টার্সকে বলেন, দেশে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে এই মাধ্যমগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন অপারেটর ডায়ালগ এক টুইটে জানায়, শুধু ফেসবুক নয়, আইএমও, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবও বন্ধ রাখার নোটিশ পেয়েছে তারা।
ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে আব্দুল হামিদ নামে এক ব্যক্তি আটক করা হয়েছে। যিনি এক পোস্টে লিখেছিলেন, তোমাদের এ কাজের জন্য তোমরা একদিন কাঁদবে।
এছাড়া মুসলিমদের দোকানে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ইস্টার সানডে হামলার পর থেকে শ্রীলংকায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বিরাজ করছে।