স্টাফ রিপোর্টার :: শনিবার ছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ দিন। এ দিনও যথারীতি পাঠকরা এসেছেন, বই কিনেছেন। উৎসবমুখর ব্যঞ্জনার মধ্য দিয়েই মধুর সমাপ্তি ঘটল ২০১৯ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলার।
শেষদিনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মেলায় লোক সমাগম ছিল। বইপ্রেমীরা কিনে নিয়েছেন তাদের বাকি বইগুলো। লেখক-পাঠক-প্রকাশক আর দর্শনার্থীর সরব উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল মেলার দুই প্রাঙ্গণই। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লোকসমাগম তেমন একটা ছিল না। মেলা জমে ওঠে মূলত সন্ধ্যার আগে থেকে।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, এবারের মেলায় গতবারের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। গতবারের বিক্রি ছিল ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার। এবার ৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। আর বর্ধিত দুই দিনের (১ ও ২ মার্চ) বিক্রি বিবেচনায় নিয়ে ড. জালাল আহমেদ বলেন, এটা আমরা বলতেই পারি, এবার বইয়ের বিক্রি প্রায় ৮০ কোটি টাকা বা তার অধিকও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, মেলার ২৭তম দিনে বৃষ্টির কারণে তিন ঘণ্টায় বন্ধ হয়ে যায় মেলা। ২৮ ফেব্রুয়ারি মেলা শেষ হওয়ার মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দু’দিন বাড়িয়ে দেয়া হয় গ্রন্থমেলা।
এবার মেলায় নতুন বই এসেছে চার হাজার ৮৩৪টি। গতবার নতুন বই এসেছিল চার হাজার ৫৯১টি। এবার ২৪৩টি বই বেশি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি বছর কবিতার বই বেশি প্রকাশিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে এক হাজার ৬০৮টি। এছাড়া এ বছর গল্পগ্রন্থ ৭৫৭টি, উপন্যাস ৬৯৮টি, প্রবন্ধ ২৭৪টি, গবেষণা ৮০টি, ছড়া ১৪৮টি, শিশুতোষ ১৫০টি, জীবনী ১৬৭টি, রচনাবলী ১৫টি, মুক্তিযুদ্ধ ১১০টি, নাটক ৪৩টি, বিজ্ঞান ৭৭টি, ভ্রমণ ৮৫টি, ইতিহাস ৭৭টি, রাজনীতি ৩৩টি, স্বাস্থ্য ৩৭টি, কম্পিউটার ৫টি, রম্য ২৮টি, ধর্মীয় ২৫টি, অনুবাদ ৩৮টি, অভিধান ৬টি, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ৪৫টি এবং বিবিধ বিষয়ে বই এসেছে ৩৩০টি। এর মধ্যে মেলার শেষ দিন শনিবার ৬৩টি নতুন বই এসেছে। এর মধ্যে গল্প ১০, উপন্যাস ৯, প্রবন্ধ ৫, কবিতা ২২, গবেষণা ১, ছড়া ২, বিজ্ঞান ২, ভ্রমণ ৩, স্বাস্থ্য ২, ধর্মীয় ১, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ১ এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর আরও ১০টি নতুন বই এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগ। এবারের মেলায় প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে ১ হাজার ১৫১টি বই মানসম্পন্ন বলেও জানায় বাংলা একাডেমি।