নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা, সেলিনা হায়াৎ আইভীর জয়ের জন্য বড় হুমকি এখন কাউন্সিলররা। ভোটের মাঠে নিজেদের জয়ের ব্যাপারে মরিয়া তারা। মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আইভী থাকলেও সে ব্যাপারে উদাসীন আওয়ামী লীগ অনুসারী এসব কাউন্সিলর। ভোটের আগের দিন রাতেও জয়ের জন্য তৎপর ছিলেন এসব প্রার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অর্ধ শতাধিক প্রার্থী আইভীকে কোনভাবেই মেনে নিতে চান না। এসব প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ অনুসারী হলেও নির্বাচনে মাঠে নিজেদের জয়ের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। এদের অনেকেই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের অনুসারী। আইভীর সঙ্গে উপর উপর যতই ঘনিষ্টতা দেখান না কেন? গোপনে তারা আইভীর বিপক্ষেই অবস্থান করছেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, দলীয়ভাবে আইভীকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিলেও সেটা মানতে পারেননি তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। একারণেই আইভীর পক্ষে প্রচারণায় তাদের সম্পৃক্ততা কমছিলো। আর কাউন্সিলরাও ব্যস্ত ছিলেন তাদের জয়ের জন্য গণসংযোগে।
জানা যাচ্ছে, শামীম ওসমানের অনুসারী কাউন্সিলরদের অধিকাংশই নারায়ণঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার, আর সিটির ২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ধানের শীষের ব্যাপক ভোট ব্যাংক রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে আবার কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। ভোট আজ যাই পড়ুক, কাউন্সিলররা চাইছেন, আগে তাদের বিজয় নিশ্চিত আক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল রাতে আওয়ামী লীগ অনুসারী এক কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, দেখুন নির্বাচনের মাঠে সকলেই জয়ী হতে চায়। আমাদের বিজয় নিশ্চিত হলে এলাকাবাসীরা বেশি খুশি হবে। আমরা সে লক্ষেই কাজ করছি। মেয়র হিসেবে যিনি (আইভী) লড়ছেন, উনিও কিন্তু নিজের জয়ের জন্য সব করেছেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, গত নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়েছিলাম। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে বিজয়ী করেছে। এখানকার জনগণের উপর আমার আস্থা রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর (আজকের ভোটে) জনগণ আরেকটি নৌকার বিজয় উপহার দেবে।