শেরপুর জেলা শহরের নবীনগর মহলার তাজ ফিলিং স্টেশনে সিএনজি গ্যাস ভরার সময় একটি লেগুনা গাড়ীর সিএনজি সিলিন্ডার বিস্ফোরনে ১ ব্যাক্তি নিহত ও ১ জন আহত হয়েছে। নিহত বাবুল মিয়া (৪৮) অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য ও ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার নাগলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই লেগুনা গাড়ীর মালিক। গুরুতর অবস্থায় আহত শহরের নবীনগর এলাকার পথচারী সাজু মিয়াকে (২৪) শেরপুর জেলা হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে ।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফিলিং স্টেশন কতৃপক্ষ সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে লেগুনা গাড়ীটি (নং সিলেট-চ-০২৩১) সিএনজি ভরার জন্য শহরের নবীনগর এলাকার তাজ ফিলিং স্টেশনে সিরিয়াল দিয়ে লাইনে দাড়ায়। সিএনজি ভরার সময় বিকট শব্দে লেগুনা গাড়ীটি’র একটি সিএনজি সিলিন্ডার বিস্ফোরন ঘটে। বিস্ফোরনে লেগুনা গাড়ীটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং বিস্ফোরিত সিলিন্ডারটি সিএনজি স্টেশনের উপরের টিনের সেড ভেদ করে প্রায় ২৫ গজ দুরের একটি বাড়ির রান্না ঘরের চালের উপর গিয়ে পড়ে। এসময় গাড়ীটির পাশে দাড়িয়ে থাকা লেগুনার মালিক বাবুল মিয়া ঘটনা স্থলেই মারা যান এবং নবীনগর এলাকার পথচারী সাজু মিয়া (২৪) গুরুতর আহত হয়। পরে শেরপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ী ও লাশ উদ্ধার করে।

লেগুনা গাড়ীর চালক তারা মিয়া (৩০) জানায়, লেগুনার মালিক বাবুল মিয়াসহ ফুলপুর থেকে একটি ভাড়া নিয়ে রাতে শেরপুর আসে। গাড়ীর সিএনজি গ্যাস শেষ হওয়ায় যাত্রী নামিয়ে ওই ফিলিং স্টেশনে সিএনজি গ্যাস ভরার সময় প্রচন্ড শব্দে একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরন ঘটে। এতে গাড়ীর পাশে দাড়িয়ে থাকা মালিক বাবুল মিয়া ঘটনা স্থলেই মারা যায়। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার নাগলা গ্রামে, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য।

এব্যাপারে শেরপুর সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই পারভেজ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই লেগুনা গাড়ীর সিএনজি সিলিন্ডারটি ত্রুটিপূর্ন এবং অনুমোদিত ছিলনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এব্যাপারে একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহরিয়ার মিল্টন/শেরপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here