বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের শ্রীবর্দীতে রানী শিমূল ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে গ্রামবাসী মিছিল নিয়ে শ্রীবরদী শহরে আসে। মিছিলটি শ্রীবরদী পৌর শহরের তাতিহাটি এলাকায় এলে প্রথমে তাতিহাটি এলাকাবাসী এবং পরে পুলিশের সাথে সংর্ঘষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া বেধে যায়। এসময় ৩ পুলিশ সদস্যসহ ছাত্রলীগ নেতা রিপন,পথচারী  নিলু মিয়াসহ   অন্তত ২০ জন আহত হয়।

পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ঘটনাস্থাল থেকে একজন ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। আহতদের মধ্যে পুলিশের এসআই রুহুল আমীন (৩০), কনস্টেবল ফকরুজ্জামন (৩৫) ও  কনস্টেবল মনসুর আলী (৩০) সহ ১৫ জন শ্রীবর্দী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার রাতে শ্রীবরদী উপজেলার রানী শিমূল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু শামা কবীরকে মালাকুচা গ্রামের এক কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে পাঠায়।

এঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই চেয়ারম্যানের সমর্থরা রাম-দা, লাঠি-সোটা ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়ে মিছিল সহকারে শ্রীবরদী উপজেলা শহরে আসে। এসময় মিছিলটি শ্রীবরদী পৌর এলাকার তাতিহাটি এলাকায় এলে পুর্বে খবর পেয়ে ওঁত পেতে থাকা স্থানীয় ছাত্রলীগ ক্যাডার ও এলাকাবাসী মিছিলের উপর হামালা চালায়। এসময় দুই এলাকাবাসীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষ বেধে যায়।

এদিকে খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে উত্তেজিত দুই গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ এবং ১ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় ৩ পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এব্যাপারে শ্রীবর্দী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাছিনুর রহমান জানান, বুধবার রানী শিমূল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু শামা কবীর ধর্ষন চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হওয়ায়র প্রতিবাদে ওই চেয়াম্যানের সমর্থকরা বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিছিল সহকারে শ্রীবরদী শহরের তাতিহাটি এলাকায় এলে স্থানীয় এলাকাবাসী আতংকিত হয়ে তাদের প্রতিরোধ করে। এসময় শহরবাসীর সাথে গ্রামবাসীর সংর্ঘষ বেধে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ১ রাউন্ড টিয়ারসেল এবং লাঠি চার্জ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। সেইসাথে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এলাকায় বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রনে আছে বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান। তবে মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহরিয়ার মিল্টন/শেরপুর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here