শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতারের জের ধরে মিছিলে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৮ জনসহ দু’শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় গ্রেফতার এড়াতে ৭ গ্রামের মানুষ গত দু’দিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে ওই গ্রাম গুলো এখন জনশূণ্য হয়ে পড়েছে। এলাকায় বিরাজ করছে গ্রেফতার আতংক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষ দর্শী সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের মালাকোচা গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শামা কবির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আবু শামা কবিরের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার এলাকার ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে ৩-৪শ লোকের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শান্তিপূর্ন্যভাবে শ্রীবরদী পৌর শহরের দিকে আসে। এক পর্যায়ে পোড়াগড় বড় ব্রীজের কাছে এলে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা মিছিলে হামলা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। ঘটনার পরই আহতরা শ্রীবরদী, পার্শ্ববর্তী বকশীগঞ্জ ও জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এসময় পুলিশের হাতে আটক হয় ইউপি সদস্য তারা মিয়া, হাঁসধর গ্রামের ছামিউল ও আজিজুর রহমান। এ ঘটনায় এসআই রহুল আমিন বাদী হয়ে থানায় ইউপি সদস্য মিল্লাদ, মসলে উদ্দিন, গোলাপ মিয়া, লাভলু মিয়া ও জাকির হোসেনসহ ৪৮ জন ও অজ্ঞাত আরো দু’শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে হাসঁধরা, বাগহাতা, আসন্দিপাড়া, মালাকোচা, বিলভরট , ঘোনাপাড়া ও ভায়াডাঙ্গা গ্রামের মানুষ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। এতে জনশূণ্য হয়ে পড়েছে গ্রামগুলো। শনিবার ওইসব গ্রামে গেলে দেখা যায় জনশূন্যতার দৃশ্য। তবে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের দেখা গেলেও তারা চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। থানা অফিসার ইনচার্জ পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ঘটনাটি এখনো তদন্ত চলছে। তবে নিরীহ কোনো লোককে গ্রেফতার করা হবে না। অপরদিকে ওই ইউপি চেযারম্যান আবু শামা কবিরের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তারা এখন চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহরিয়ার মিল্টন/শেরপুর