আ হ ম ফয়সল, ঢাকা

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমীর চৌত্রিশতম বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশ্ববরেণ্য বাঙালি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। ফেলোশিপপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সম্মাননা পত্র তুলে দেন সভার সভাপতি প্রফেসর এ. এফ. সালাহ্‌উদ্দীন আহ্‌মদ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সর্বস-রে বাংলা ভাষা প্রচলনে বাংলা একাডেমী প্রণীত প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ গ্রন’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই ব্যাকরণ প্রণয়ন করে বাংলা একাডেমী ঐতিহাসিক এক দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। এজন্য আমি বাংলা একাডেমীসহ এই কাজের সাথে যুক্ত সবাইকে আন-রিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলা ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমীর সকল কার্যক্রমে আমাদের সরকার সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করবে। তিনি আরও বলেন, বাংলা একাডেমীর সাথে আমার আত্মিক যোগ বহুদিনের। এটা যেমন আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান তেমনি আমাদের জাতিসত্তা বিকাশের প্রাণকেন্দ্রও বটে। এমন একটি মহান প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ফেলোশিপ আমি বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম।

অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বলেন, বাংলাদেশ নারীশিক্ষা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে অসাধারণ প্রগতি অর্জন করেছে। এখানকার মানুষের উদার ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা বিশ্ব পরিমণ্ডলে এ অঞ্চলের বিশিষ্টতা নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, বস’ত বাংলা একাডেমী বাংলাদেশের মানুষের ক্রম-অগ্রসরমানতার স্মারক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ফেলোশিপপ্রাপ্তি আমার জন্য গৌরবের।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

বাংলা একাডেমী কর্তৃক দুইখণ্ডে প্রকাশিত প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ গ্রন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের হাতে তুলে দেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার এবং অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here