জামান সরকার, হেলসিংকি থেকে ::
জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করছে। দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ বোঝে যড়যন্ত্রের হোতা কে? অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপনের প্রস্তুতি সভায় ফিনল্যান্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হেলসিংকিতে এসব কথা বলেন।
সভাপতির ভাষনে ফিনল্যান্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল হাসান জনি বলেন, গত ১৬ বছরের আওয়ামী সরকার যেভাবে এ দেশের মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন-অত্যাচার ও হত্যা-গুম-খুন চালিয়েছে, তার অবসান ঘটেছে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে।
ফিনল্যান্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক জামান সরকার বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে অনেক শিশুকে হত্যা করেছে। এতদিনে যত গুম খুন হয়েছে এর সাথে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সিনিয়র সহ সভাপতি মবিন মোহাম্মদ বলেন, আমরা আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না। বিএনপি আওয়ামী লীগের পথে হাঁটতে চায় না। ক্ষমতায় গেলে কোনো দুর্নীতি-চাঁদাবাজি চলবে না।
সহ সভাপতি রুবেল ভূঁইয়া বলেন, অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এই এই দেশের ছাত্র-জনতা গণহত্যাকারী স্বৈরাচারের বিচার বাংলার মাটিতে দেখতে চায়।
সহ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এদেশের মাটিতে এ রকম আর কোনো স্বৈরাচারের স্থান নেই। শেখ হাসিনার নামে যে ক্যান্টনমেন্ট করা হয়েছে তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মোঃ সামসুল আলম বলেন, ভারতের কাছে আহ্বান, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাইলে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
ফিনল্যান্ড বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা মোঃ আবদুর রশিদ বলেন, গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার হবে বাংলা মাটিতে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের সমর্থন-সহযোগিতা রয়েছে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদকঃ মোকলেসুর রহমান চপল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ শামীম বেপারী, মেহেদি হাসান লিউ, মোঃ রবিউল ইসলাম প্রমুখ।