শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, “আগের সরকারের সমালোচনা না করে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করুন।

কিন্তু আপনারা তা না করে বিরোধীদলকে দমনের জন্য সব চেষ্টা করছেন। এতে কোনো শুভ ফল হবে না।”

আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে দাবি করে উল্লেখ করে জয়নুল ফারুক বলেন, “এটা একটা মিথ্যা কথা। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তাহলে কিভাবে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে নিজেদের দাবি করে?”

তিনি বলেন, “ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের সহায়তা করেছিলো। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আমরা তাদের দাসত্ব মেনে নেবো। কিন্তু আমাদের সরকার যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে তাতে মনে হয় এদেশ ভারতের কোনো অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।”

বাংলাদেশ উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিষদ ‘‘আওয়ামী দুঃশাসনের তিন বছর বিপন্ন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, দেশপ্রেমিক মানুষের করণীয়’’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বর্তমান সরকার মানবাধিকার লংঘন করছে অভিযোগ করে জয়নুল ফারুক বলেন, “আবারো ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা বিরোধীদলের উপর জুলুম নির্যাতন শুরু করেছে। এমনকি নিজের দলের লোকদেরকেও তারা এখন ছাড়ছে না।”

‘সরকারের সময় শেষ হয়েছে’ যোগাযোগ মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “তিনি ঠিক বলেছেন, আসলেই সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে।”

আগামী ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল উত্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আহবান জানিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল উত্থাপন করা হলে বিএনপি সংসদে যাবে।”

তিনি রাষ্ট্রপতির সংলাপ আহবানকে লোকদেখানো বলেও মন্তব্য করেন।

জয়নুল ফারুক বলেন, “এতো কিছুর পরও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া সংলাপে অংশ নিয়েছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদও সংলাপ আহবান করেছিলেন। সেই সংলাপে আওয়ামী লীগ না গিয়ে বঙ্গভবনের বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো।

তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here