ডেস্ক রিপোর্ট:: মস্তিষ্ক-কোষ বা নিউরনের ত্বরিত বেগের অস্বাভাবিকতার কারণে যে কোনো ধরনের ক্ষণস্থায়ী শারীরিক প্রতিক্রিয়া বা বাহ্যিক লক্ষণকে খিঁচুনি বলা হয়। যদি ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বা ততোধিকবার খিঁচুনি হয় তা হলে এটিকে মৃগীরোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এ রোগের বাইরে নয়। তেমনি কারও কারও ক্ষেত্রে জন্ম থেকেই এই অসুখের লক্ষণ বা আক্রমণ স্পষ্ট থাকতে পারে।
শিশুদের খিঁচুনি কেন হয়
* বিশেষ কিছু ঘটনায় শিশুদের এপিলেপসিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। যেমন- জন্মের সময় শিশু যদি কোনও সমস্যার মুখোমুখি হয়, তাহলে তাদের মস্তিষ্কে সমস্যা হতে পারে।
* শিশুর বৃদ্ধি, বুদ্ধির বিকাশ, কথা বলতে শেখা, বসতে শেখা, দাঁড়ানো প্রায় সবই দেরিতে হচ্ছে, তখনও কোনও কোনও ক্ষেত্রে এমন এপিলেপসির শঙ্কা থাকে।
* শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন পূর্ণতা না পেলে বা কোনও জখম থাকলে এই অসুখ দেখা দেয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শিশু মস্তিষ্কে আঘাত পেলে বা মস্তিষ্কে কোনও জটিল অস্ত্রোপচার হলে এই অসুখের শিকার হতে পারে।
লক্ষণ কী
এপিলেপসি বা মৃগীর ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি একটা বড় লক্ষণ ঠিকই। তবে জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি হলেই মৃগী তা কিন্তু নয়। খিঁচুনি যদি ১০-১৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, ঘন ঘন হয় ও শরীরের কোনও একটি পাশে খিঁচুনি হতে থাকে, তা হলে এই অসুখ নিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে শিশুর মস্তিষ্কের এমআরআই ও ইইজি করিয়ে রাখতে হবে। এপিলেপসির কোনও ইঙ্গিত থাকলে এতেই ধরা পড়বে।
কী করবেন
* প্রথম ও প্রাথমিক শর্ত- ঠিক সময়মতো সব ওষুধ খাওয়ানো।
* কয়েক মাস অন্তর অন্তর চিকিৎসকের কাছে যান, রুটিন পরীক্ষাগুলো করিয়ে রাখুন।
* জ্বর কোনভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। তাই জ্বরের ওষুধ বাড়িতে মজুত রাখুন।
* শিশুর স্বাভাবিক ঘুমে যেন কোনও প্রকার ঘাটতি না হয়।
সতর্কতা
খিঁচুনি হওয়ার সময় শিশুকে নির্দিষ্ট একটা পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে দিন। মুখের তরল যেন কোনোভাবেই শ্বাসনালীতে না পৌঁছে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তার চারপাশে কোনোরকম ধারালো জিনিস, বা আঘাত পেতে পারে এমন জিনিস এই সময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখবেন না। শিশুকে জোর করে চেপে ধরে থাকবেন না। মিনিট দশেকের বেশি খিঁচুনি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের কাছে যান। সূত্র- আনন্দবাজার