আশরাফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ::

শিবগঞ্জে মশা ও মাছি বাহিত ল্যাম্পি স্কিন রোগে প্রায় দেড় হাজার গরু আক্রান্ত আক্রান্ত হয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক গরু মারা যাচ্ছে। ফলে শিবগঞ্জের শত শত গরু খামারী ও সাধারণ চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গ্রাম্য পশু চিকিৎসদের শরণাপন্ন হয়ে কাঙ্খিত চিকিৎসা মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক গরু খামারী ও গরু পালনকারীর জানান গ্রাম্য পশু চিকিৎসরা পশু চিকিৎসরা ক্ষেত্রে ঔষধের দাম অনেক বেশী নিচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই।সুত্র মতে গত বছররে চেয়ে এ বছর ল্যাম্পি স্কিন রোগে অনেক বেশী গরু আক্রান্ত হচ্ছে ও মারাও যাচ্ছে। প্রতিদিন শিবগঞ্জ প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে গরু খামারী ও চাষীরা আক্রান্ত গরু নিয়ে ভীড় জমাচ্ছে। প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে গরু মারা যাওয়ার সংখ্যা কম হলেও

সরজমিনে ঘুরে গরু খামারী ও চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এ বছর শিবগঞ্জে প্রায় দেড় হাজার গরু ল্যাম্পি স্কিন
রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে প্রায় শতাধিক।.তবে প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গরু মারা যাবার কোন তথ্য দিতে পারছেন না। তাদের ভাষ্য হলো এ ব্যাপারে কোন জরিপ না করায় সঠিক কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

সাম্প্রাতিককালে মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের নুহ আলির প্রায় ৮০ হাজার টাকা দামের একটি ,রহুর আমিনের
এক লাখ টাকা মূল্যের একটি, মুখলেশুর রহমানের এক লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যে একটি, বিদোপুর ইউনিয়নের কবিরাজ
টোলার অসিমের এক লাখ টাকা মূল্যের একটি গরু ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ রোগে সবচেয়ে বেশী গরু আক্রান্ত হয়েছে ও মারা গেছে দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের গ্রাম্য পশু চিকিৎসক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নে প্রায় এক‘ শ গরু আক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নে কামালপুর গ্রামের বদিউরের একটি,মির্জাপুর গ্রামের
রাকিবের একটি,ইংলিশ গ্রামের মফিজ উদ্দিনের একটি,মির্জাপুর গ্রামের আতাউর রহমানের একটি সহ প্রায় ৪০টা গরু মারা গেছে।

তিনি আরো বলেন এ রোগ থেকে গরুওে রক্ষা করতে আক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে আলাদা রাখতে হবে। নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে। বর্তমানে প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল থেকে দুই ‘শ টাকা মূল্যেরগোটফস নামে একটি ভ্যাকসিন দিচ্ছে। তারা বলেন যা ব্যবহারে অনেক গুরু ভাল হচ্ছে ।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক গ্রাম্য পশু চিকিৎসক জানান প্রাণী সম্পদ থেকে ঠিকমত ভ্যাকসিন সরবরাহ না দেয়ায় গরুর খামারী ও সাধারণ চাষীরা হিমশিম খাচ্ছে।তবে প্রকৃত ভ্যাকসিন এখনো পাওযা যায় না। তারা জানান এ রোগটি মশা ও মাছি বাহিত রোগ। এ রোগের লক্ষণ হলো গরুর শরীরে গুঠি গুঠি আকারে ফোসকা দিয়ে উঠবে। জ¦র হবে।খাওয়া ছেড়ে দিবে।আস্তে আস্তে গরু মারা যাবে।

এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: শাহাদাৎ হোসেন জানান, শিবগঞ্জে ল্যাম্পি স্কিন কোন গরু মারা গেছে কি না তা আমার জানা নেই।কারণ এখনো জরিপ করা হয়নি।তবে এ রোগ থেকে গরুকে রক্ষা করতে নিয়মিত ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান যদি কেউ ঔষধের দাম বেশী নেয় এবং অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহন করবো।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here