ডেস্ক রিপোর্ট:: জন্মের পর থেকে বাবার হাত ধরে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমাদের পথচলা। কথায় বলে, “পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ পুরুষ রয়েছে,কিন্তু একটিও খারাপ বাবা নেই”। বাবা কে নিয়ে লেখার সাহস হয়তো আমাদের নেই।ছোট বেলা থেকেই আমরা দেখি বাবারা আমাদের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেই চলেন।বাবারা সব সময় তার সন্তানদের বিভিন্ন আবদার পূরণ করেন কষ্ট হলেও। নিজেরা না খেয়ে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে স্বস্তির ঢেকুর তোলেন। সন্তানদের মুখে হাসি যেনো বাবাদের মনে অনেক স্বস্তি নিয়ে আসে। এই ঋণ শোধ হবার নয়। তবে বাবাকে তো নিজের মনের কথা জানানোই যায়। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন বাবাদের প্রতি তাদের ভালোবাসা। নিচে তাদের কথা তুলে ধরা হলো।
তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নৌরীন জাহান প্রিয়া বলেন, দলহীন সৈনিক বুঝতে পারে যুদ্ধের মাঠে তলোয়ারের আঘাত। বাবা হলো সন্তানের সকল বিপদের ঢালস্বরূপ।বাবা ছাড়া সন্তানের বাঁচার লড়াইটা অনেকটা যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্র ছাড়া আমি। ছেলেবেলার অধিকাংশ সময়ে বাবার সাথে কাটে। বাবা দিবস সারাবছরের মধ্যে একটি বিশেষ দিন।বাবার স্মৃতি গুলো অন্তরে ধারণ করে তার দেখানো পথে সকল সন্তান চলতে চায় ।বাবাকে কখনো বলা হয় না অনেক ভালোবাসি।বাবা একজন সন্তানকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসতে পারে এবং সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনের যাবতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে।বাবা আমাদের সকলের বটবৃক্ষ। বাবা আমাদের সাহস, শক্তি। বাবারা আমাদের জীবনের ভালো কিছু করার অণুপ্রেরণা জোগায়। প্রতিটি সন্তানের কাছেই তার বাবা সেরা। বাবার প্রেম ও নির্বাচিত শিক্ষা আমাদের জীবনের শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।
মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মানিক হোসেন সরকার বলেন,”বাবা” এই শব্দটির গুরুত্ব আসলে বলে বা লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। বাবা প্রতিটি সন্তানের জন্যই বটগাছ। কেননা, বাবার পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন বাবা তার সন্তানের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দেন, যাতে সন্তান ভালোমতো মানুষ হতে পারে।বাবা এমন একজন ব্যক্তি, যিনি সবসময় সন্তানকে ছায়ার মতো আগলে রাখেন, যে কোন পরিস্থিতিতে সাহস যোগান, নির্ভরতা দেন। বাবা সন্তানের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকিও নিতে কখনো দ্বিধাবোধ করেন না। বাবা যেমনই হোন, তিনি তাঁর সন্তানের কাছে আদর্শ, জীবনযুদ্ধের সত্যিকারের নায়ক। তবে সন্তানেরা কিন্তু গুরুগম্ভীর বাবাকেও ঠিকই ভালোবাসে। হয়তো মুখ ফুটে বলতে পারে না।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাফফান তাসনিম রিয়া বলেন, শব্দটি ছোট তবে অর্থ বৃহৎ । আমার জীবনে বাবা হলেন ছায়াদানকারী বৃক্ষ। যিনি নিজের কথা ভাবার আগে পরিবারের কথা ভাবেন। তিনি সরল, পরিশ্রমী এবং নির্ভীক একজন মানুষ। জীবনের টানাপড়েন কি বাবা কখনোই উপলব্ধি করতে দেননি। বাবারা যেভাবে দিনরাত পরিশ্রম করে সন্তানের ভরণ-পোষণের চেষ্টা করছে, সেটাই শ্রদ্ধার যোগ্য। বাকী আর কিছু লাগে না। তাই আশা রাখছি বাবা দিবস হয়ে উঠবে বাবার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব প্রকাশের একটি দিন। এই দিনে বাবাকে বলতে চাই বাবাকে ভীষণ ভালোবাসি।
ম্যানেজম্যান্ট ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী রাকিবুর রহমান রিফাত বলেন,বাবা আমাদের সকলের বটবৃক্ষ। বাবা আমাদের সাহস, শক্তি। বাবারা আমাদের জীবনের ভালো কিছু করার অণুপ্রেরণা জোগায়। প্রতিটি সন্তানের কাছেই তার বাবা সেরা। বাবা দিবস নিয়ে আমার ভাবনা অত্যন্ত মূল্যবান এবং আদর্শময়। বাবা দিবস সারাবছরের মধ্যে একটি বিশেষ দিন। আমাদের বাবা ত্যাগ, ভালোবাসা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের ও পরিবারের জন্য একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যান। তিনি আমাদেরকে জীবনের সঠিক পথ নির্দেশ করেন এবং আমাদের আরও উন্নত ও সুন্দর ব্যক্তিত্বের পথ দেখান। তিনি সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের সাথে থাকেন, আমাদের পাশে থাকেন এবং আমাদের আরও বড় হতে সহায়তা করেন।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী নাসিম ইকবাল বলেন,বাবা দুটি অক্ষরের সামান্য একটি শব্দ।বাবারা হয় অসামান্য। এক একজন বাবা এক একজন সুপার ম্যান।বাবারা কখনো ক্লান্ত হয় না,বাবারা কখনো বিরক্ত হয় না। একজন বাবাই জানেন বাবা হওয়া কতটা দায়িত্বের। আঙুল ধরে হাঁটা শিখানো থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটা কঠিন সময় যাকে পাশে পাই সেই মানুষটা হচ্ছে বাবা। জীবনে বাঁচার শক্তি জোগায় যিনি,যিনি বট বৃক্ষের শীতল ছায়া।বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবাকে জানাই সালাম,ভালো থাকুক সকল বাবারা।