সোহেল রানা, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:

কমলগঞ্জে সদ্য প্রতিষ্ঠিত শমশেরনগরে বিএএফ শাহীন কলেজে আগামী নতুন বছরে নার্সারী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ক্লাস শুরু হচ্ছে। নার্সারীতে লটারী ব্যতীত ১ম শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনীর ভর্তি পরীক্ষা ছিল ২২ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার।

১ ঘন্টা করে তিন সিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও অভিভাবকদের যথা সময়ে সিফট না জানানোর কারণে সকাল থেকেই উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। একইদিনে অত্যধিক পরিমাণের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা ও ম্যানেজমেন্টের অব্যবস্থাপনার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সকালে ১ম সিফটের পরীক্ষা শুরুর আগেই অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজে এসে শুধুমাত্র নোটিশ বোর্ডে রোল ও হল নাম্বার উল্লেখ থাকায় ভীড়ের চাপের কারণে অনেকেই নোটিশ বোর্ড দেখতে পারেনি।

এ অবস’ায় ১ম তলা থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে খোঁজাখূজির পর পরীক্ষা শুরুর অনেক পরেও শিক্ষার্থীদের হল রুমে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ৪র্থ তলায় ৪০৫ নম্বার রুমের কথা বলা হলেও বাস্তবে গিয়ে ৪০৫ নম্বার রুমের অসি’ত্ব খোঁজে পাওয়া যায়নি। এক ঘন্টা পরে পরীক্ষা শেষে ম্যানেজমেন্টের অব্যবস’াপনায় এবং অভিভাবকদের ভিড়ের কারণে ২য় তলা থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কান্নার রুল পড়ে। বাচ্চাদের জন্য উদগ্রীব অভিভাবকরা দীর্ঘ এক ঘন্টা এদিক সেদিক খোঁজাখোজির পর বাচ্চাদের কান্না শুরু হলে অভিভাবকরা হল রুমের ভিতরে গিয়ে নিজ নিজ বাচ্চাদের খুঁজে আনেন। এ সময়ে পুলিশ ও ম্যানেজমেন্ট নিরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

শাহীন কলেজে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসা অভিভাবক শিক্ষক সোলেমান, এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম, কমলগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল হক, সিতারা বেগম, ডা. সুকুমার সিংহ, কমলগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন, সুরুক মিয়া তীব্র অব্যবস’াপনার কথা স্বীকার করে বলেন, শাহীন কলেজের সুনাম ও শৃঙ্খলার কথা ভেবে বাচ্চাদের ভর্তি পরীক্ষায় নিয়ে এসে হতাশ হতে হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় কোন ধরণের শৃঙ্খলা দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শমশেরনগর ইউনিটের উইং কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি ব্যস্ত আছেন জানালেও পরে কয়েক দফা যোগাযোগ করে কথা বলা যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here