শার্শার পল্লীতে প্রেম ঘটিত ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত পরীক্ষার্থীর নাম মাসুম রেজা। সে পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। নিহত রেজা যশোরর উত্তর শার্শার রঘুনাথপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, নিহত মাসুম রেজা (১৮) পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া লামিয়া নামের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমজ সর্ম্পক গড়ে তোলে। এ ঘটনা জানাজানি হলে উক্ত ছাত্রীকে তার পিতা-মাতা গত ৩ মাস পূর্বে শালকোনা গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপ-সহকারী সোহাগের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পরও মেয়েটি মাসুম রেজার সাথে মোবাইলে প্রেমের পুরো সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। লামিয়ার স্বামী সোহাগ বুঝতে পেরে সমপ্রতি মাসুম রেজার বাড়ীতে যেয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে।

নিহতের মা পারভিনা বেগম জানান, সোমবার সকালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কে বা কারা মাসুম রেজাকে পাকশিয়া বাজারে আসতে বলে। তারপরে রেজা আর বাড়ী ফেরেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে খোজা খুজি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে মাছুমের লাশ পাকশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনের বাজার মসজিদ-এর পাশে কাঠ দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশের খবর দেয়।

পুলিশের জানায়, শ্বাসরোধ করে মাসুম রেজাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার ডান চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার ক-সার্কেল আনিছুর রহমান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিভাবে পুলিশ লামিয়া’র স্বামী সোহাগকে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করছে। পুলিশ সোহাগের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পায়নি। হত্যাকান্ডের পর থেকে বাড়ীর সকলে পলাতক রয়েছে। শার্শা থানার সেকেন্ড অফিসার আজিজুর রহমান ও এস আই মিলন লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেছে।

এদিকে মাসুম রেজা হত্যার ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা এ হত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্বজনদের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ইয়ানুর রহমান/শার্শা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here