মোঃ ওসমান গনি, বেনাপোল প্রতিনিধি ::

পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে চলে গেছেন শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুরের পর এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আনন্দ মিছিল করে ছাত্র-জনতা। তবে শার্শায় আওয়ামীলীগ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও দলীয় কার্যালয়ে ব্যপক ভাংচুর, বাড়ী-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক নেতা-কর্মীও সাধারন মানুষ হতাহত হয়েছে। বিক্ষুব্ধ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বালুন্ডা গ্রামের আলতাফ হোসেনর ছেলে আওয়ামীলীগ কর্মী সোলাইমানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে যশোর সদর হাসপাতালে মারা যায়। গুরুতর আহত আওয়ামীলীগ কর্মী লিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে শার্শা উপজেলার সর্বত্র ছাত্র-জনতা আনন্দ মিছিল করে। বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বিভিন জায়গায় রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করে। বিকালে বিক্ষুব্ধ বিএনপি- জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় শার্শা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন আহমেদ তোতার ব্যক্তিগত অফিস এবং বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তার বাড়ির সামনে রাখা গাড়িটি ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধকারীরা নাভারন বাজারে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ব্যপক ভাংচুর ও লুটপাটসহ বাজারে আওয়ামীলীগ বিভিন্ন নেতা-কর্মী ও দলীয় সমর্থকদের দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে বিক্ষুব্ধ বিএনপি- জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নাভারন সাতক্ষীরা মোড়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম সরদারের অফিসে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।

উলাশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আয়নাল হক’র বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একটি মাছের ঘের, গরুর খামারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

এসময় হামলা কারীরা তার ভাই আব্দার হোসেনসহ বেশ কয়েক জনকে পিটিয়ে আহত করে। হামলা কারীরা উলাশী বাজারে সাবেক মেম্বার তরিকুল ইসলাম মিলনের অফিস ভাংচুর, ও অগ্নিসংযোগ করে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here