শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে চায়ের বিকল্প নেই। চা দিয়ে শরীর মনকে ফ্রেশ করাটা একটি সাধারণ বিষয়। তবে এগুলো ছাড়াও চায়ের অনেক স্বাস্থ্যগত উপকার রয়েছে। সমপ্রতি একটি অস্ট্রেলিয়ান গবেষণায় চায়ের ১০টি উপকারের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এক. ক্যান্সার প্রতিরোধক। গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন-টিতে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে। চা পানের কারণে মূত্রথলির ক্যান্সার পাকস্থলীর ক্যান্সারসহ সব প্রকার ক্যান্সার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। দুই. ধমনী ও অপঘাতজনিত রোগের শঙ্কা কমে আসে গ্রিন-টি পানের দ্বারা। সমপ্রতি এক জাপানি গবেষণায় বেরিয়ে আসে এই তথ্য।
এতে বলা হয় যত বেশি গ্রিনটি পান হবে ততই এসব রোগের ঝুঁকি কমে আসবে। তিন. রক্তচাপ ও স্ট্রোক হ্রাস। গ্রিনটি পানের কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। চার. চাপ ও অবসাদ দূর করে। ব্ল্যাক টি (কালো চা) পানের কারণে অবসাদ দূর হয়। শরীরে প্রফুল্লতা আসে। ২০১০ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে কোন ধরনের ড্রিংকস থেকে ব্ল্যাক টি অবসাদ দূরে অনেক বেশি উপকারী। পাঁচ. গ্রিন টি পানের কারণে অধিকহারে কমে যায় স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি। ছয়. হারবাল চা পান করলে সব রকম বিপাকীয় রোগের আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।
সাত. হারবাল ও মধু মিশ্রিত চা পানের দ্বারা ত্বকের ক্যান্সার কমে। গবেষণায় বলা হয়, বিষয়টি মানব চিকিৎসায় ভবিষ্যতে বিপ্লব নিয়ে আসবে। আট. হারবাল চা পাখির উপর প্রয়োগ করে দেখা যায়, তাদের ডিম উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ছে। এতে করে ভবিষ্যতে মানুষের প্রজনন ক্ষমতায় এটা কাজে লাগানো যাবে বলে আশা করা হয় গবেষণা প্রতিবেদনে। নয়, হোয়াইট টি (সাদা চা) অক্সিজেনজনিত চাপ কমাতে অনেক উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। দশ. হারবাল চা (গ্রিন, ব্ল্যাক, রেড) পান করলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়বে বলে আশা করা হয় গবেষণা প্রতিবেদনে। গবেষণায় বলা হয়, সব ধরনের চা-ই মানুষের জন্য উপকারী এবং এর উপকারের বিষয়টি বহুমাত্রিক।