অভিষেকের পর হোয়াইট হাউজে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সিয়ান স্পাইসারের সমালোচনার মধ্য দিয়ে প্রথম সপ্তাহর সমাপ্তি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। নতুন প্রশাসনের কিছু নীতি পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন যা এবার দীর্ঘসময় পর্যন্ত বহাল থাকবে।

ট্রাম্প প্রসাসনের প্রথম ৪৮ ঘন্টার কিছু কর্মসূচি নিচে দেয়া হলো:

১. যুক্তরাষ্ট্রের চলমান কর্মসমূহের দায়িত্ব গ্রহণ।

২. বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্য বিমা যা ‘ওবামা কেয়ার’ নামে পরিচিত। ওই আইনের বাতিলের নির্বাহী আদেশ।

৩. মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত এবং পারমাণবিক কোড গ্রহণ।

৪. কানসাস অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইক পম্পিওকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ।

৫. ইরাক থেকে তেল গ্রহণ না করায় মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর প্রতি অনুশোচনা প্রকাশ করেন ও ভবিষ্যতে তেল গ্রহণ করার সুযোগ আছে কিনা এই বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন।

৬. পূর্বের সরকারের হোম লোন গ্রহণের বার্ষিক বন্ধকী স্থগিত।

৭. নতুন প্রশাসনকে সময় পর্যলোচনা করতে নিয়ম-কানুন ও প্রথা মেনে চলার নির্দেশ জারি।

৮. ট্রাম্পের জামাতা জেরোড কুশনারের হোয়াইট হাউজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে আইনগত অধিকার নিশ্চিতকরণ।

৯.মেক্সিকোর প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন। জানুয়ারির শেষ নাগাদ দেখা করার আহবান।

১০. কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে যোগাযোগ। দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্কে আলোচনা।

১১. নাফটা নিয়ে মেক্সিকো ও কানাডার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা ও সমঝোতা করার ঘোষণা।

১২. ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে আগামী শুক্রবার প্রথম বিদেশি সভা করার ঘোষণা।

১৩. টেক্সাসের ভোটারদের সরকারের প্রতি আইনি আবেদনের ক্ষেত্রে যাতে কোনো বিলম্ব না হয় সেক্ষেত্রে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট সিভিল অধিকার সংস্থাকে হুঁশিয়ারি।

১৪. আগামী সপ্তায় আরো নির্বাহী আদেশ জারির প্রস্তুতি।

১৫. ন্যাশনাল পার্ক কর্র্তৃপক্ষকে শপথের দিন সম্পর্কে টুইট না করার কথার নির্দেশ। (কারণ ন্যাশনাল পার্কের ছবিতে ২০০৯ সালে ওবামার শপথের ছবি দেখানো হচ্ছিল যা ট্রাম্পের চেয়ে অধিক জনাকীর্ণ)।

১৬. ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরে আলোচনা শুরু।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here