লাদেশের করা ২৭৯ রান তাড়া করতে গিয়ে মোশররফ ও তাসকিনের জোড়া আঘাতে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। এই জয়ের মাধ্যমে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে শততম জয় পেল বাংলাদেশ।

bd-21475329500-696x410সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেয়া ২৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৫ রানে ওপেনার শেহজাদকে হারায় আফগানিস্তান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করে শেহজাদকে সাজঘরে ফেরান দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ওভারের পরে বলে বোলিং করতে গিয়ে বল ছোঁড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে পড়ে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এর আগে অনেকবার এমন ভাবে দীর্ঘদিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন মাশরাফি। না, কোন শঙ্কায় পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। আবারও মাঠে ফেরেন তিনি।

৮ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে নিজের তৃতীয় ওভারে নওরোজ মঙ্গল এবং হাসমতউল্লাহ সাহিদিকে ফিরিয়ে দিলেন মোশাররফ রুবেল। ১৩ তম ওভারের ৩য় বলে মঙ্গলকে এলবিডাব্লিউ এবং সাহিদিকে ক্যাচের ফাঁদে ফেলান তিনি। ১৬.৩ ওভারে অধিনায়ক আজগার স্তানিকজাই (১) কে সরাসরি থ্রোতে রান আউট করেন সাকিব আল হাসান। ৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফগানরা।

এরপর আফগান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন। ইনিংসের ২২ তম ওভারের তৃতীয় বলে ৭৩ বলে ৩৬ রান করা রহমত শাহকে ফেরান তাসকিন। ২৪ তম ওভরে সিনেওয়ারিকে দারুন বাউন্সারে মুশফিকের হাতে তালু বন্দি করতে বাধ্য করেন তাসকিন।

জোড়া আঘাতের পর ২৫তম ওভারের শেষ বলে নিজেই ক্যাচ ধরে মোহম্মদ নবিকে (৩) মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন মোশাররফ।

৩২তম ওভারে মোসাদ্দেকের প্রথম বলে মাহমুদুল্লাহর সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন রশিদ খান। এর পরের বলে ক্যাচ আউট হন নাজিবুল্লাহ জর্দন। শফিউলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দৌলত জর্দান।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ষষ্ঠ ওভারেই ফিরে গেছেন ওপেনার সৌম্য সরকার (১১)। মিরওয়াইজ আশরাফের বলে পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।

তৃতীয় উইকেটে তামিম-সাব্বিরের ১৪০ রানের জুটি ইঙ্গিত দিচ্ছিল তিনশত রানের। কিন্তু সাকিব, মুশফিক, মোসাদ্দেকের অনুজ্জ্বল ব্যাটিংয়ে তিনশত বঞ্চিত হয় টাইগাররা। শেষ মুহূর্তে মাহমুদুল্লাহর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আফগানদের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ২৮০ রান।

প্রথমবারের মতো তিন নম্বরে খেলতে নেমে তামিমের সঙ্গে শত রানের জুটি গড়েন সাব্বির। ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক করতে ৬৭ বল খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ার সেরা ৬৫ রানের ইনিংস খেলে ফিরেন সাব্বির রহমান। সাব্বিরের আউট হওয়ার পর ১৪০ রানের জুটি ভাঙ্গে।

এরপর তামিমের সাথে ম্যাচের হাল ধরার দায়িত্ব নেন সাকিব। ১১০ বলে ক্যারিয়ারের ৭ম শতক করেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শতক করার রেকর্ড এখন তামিমের। এর আগে ৬টি শতকে সাকিবের সমান ছিলেন তিনি। সবশেষ তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে গত বছরের এপিলে। ওই ম্যাচে তামিম অপরাজিত ছিলেন ১১৬ রানে।

শতক পাওয়ার পর মোহাম্মদ নবির বল উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে ফিরেন তামিম ইকবাল (১১৮ বলে ১১৮)। দৌলত জাদরানের স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাকিব আল হাসান (৩৫ বলে ১৭)।

তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানের পর দ্রুত ফিরেন মুশফিকুর রহিম (১৩ বলে ১২)। লেগ স্পিনার রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। ওভারের প্রথম বলে মুশফিককে আউট করার পর স্টাম্পিং করে সাজঘরে ফেরান মোসাদ্দেককে।

২৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারনোর পর বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।

৮ বছর পরে মাঠে নামা মোশারফ রুবেল ১৪ বলে ৪ রান করে আউট হওয়ার পর মাশরাফির সাথে ব্যাট চড়া করেন মাহমুদুল্লাহ। ২২ বলে ৩২ রান করে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ। মাশরাফি ২ রানে আউট হলে শেষ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন শফিউল।

মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মিরওয়াইস আশরাফ ২টি করে উইকেট পান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here